Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন: দ্য স্টেটসম্যান – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে : রাষ্ট্রপতি জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপিকে কাদেরের চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন : মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক বছর ঘুরে আবারও এলো পহেলা বৈশাখ ফিলিস্তিনসহ সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত যশোরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, দাম বেশি রাখার অভিযোগ

শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন: দ্য স্টেটসম্যান

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৯৩ বার দেখা হয়েছে

ভারতের দ্য স্টটসম্যান পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নের সব মানদণ্ডে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে দারিদ্র বিমোচন ও উন্নয়নে বাংলাদেশ অভাবনীয় অগ্রগতি করেছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছি জাতিসংঘের কাছ থেকে, ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মিলবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি।
বাংলা দৈনিকের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, সারাদেশে তখন বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের ক্ষত। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে দারিদ্র, দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং মৌলবাদের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত হয় বাংলাদেশ। এমন একটা সময় ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা দেশের গতিপথই পাল্টে দেন। দেশকে নিয়ে যান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিলো ৭১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ জিডিপি ৪৭৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে ৪১৬ দশমিক ২৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
স্বাধীনতার পর পর যে বাংলাদেশকে সাহায্যনির্ভরতার কারণে বিশ্বের ময়লা ফেলার বাস্কেট বলে অভিহিত করা হতো, সেই বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে।
শেখ হাসিনার টানা তিনবারের শাসনামলে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) ক্ষেত্রে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশে এফডিআই ছিলো ৪৬৬ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে এফডিআইর পরিমাণ ছিলো ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ১৪ বছরে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াতের সর্বশেষ শাসনামলে দেশ ছেয়ে গিয়েছিলো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও মৌলবাদে। যার প্রভাব পড়েছিলো দেশের অর্থনীতিতে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ছিলো ৫৭০ মার্কিন ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু বার্ষিক আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮শ’ ২৪ মার্কিন ডলার।
গড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ সক্ষম হয়েছে লাখ লাখ মানুষের দারিদ্র দূর করতে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জিডিপির হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। আর ক্রয় সক্ষমতা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৩২তম। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা ১০টি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অন্যতম।
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যালোচনায় বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র ফুটে উঠেছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার অভাবনীয় হারে কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। স্যানিটেশনের ক্ষেত্রেও যুগান্তকারী অগ্রগতি হয়েছে। সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপে মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে। বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু এখন ৭৩ দশমিক ৫৭ বছর, যা এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি।
প্রতিবেদনে কমিউনিটি ক্লিনিকের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তৃণমূল পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্লিনিক অসামান্য অবদান রাখছে। শিশুদের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ উন্মুক্ত করেছে সরকার। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুর মতো কমেছে বাল্যবিবাহের হার। সব মিলিয়ে সরকারের এসব পদক্ষেপ নারীর ক্ষমতায়তনের পথ সৃষ্টি করেছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার ২০১০ সালে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ বিএনপির সর্বশেষ আমলে যেখানে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ছিলো, সেখানে বর্তমানে বরাদ্দের পরিমাণ উন্নীত হয়েছে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে।
বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বিশেষ করে ইকনোমিক জোনে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এ বিষয়ক আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও অসাধারণ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো ৪ হাজার ৯শ’ ৯২ মেগাওয়াট। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হয়েছিলো ২২ হাজার ৬৬ মেগাওয়াট। বর্তমানে তা ২৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণকে শেখ হাসিনা সরকারের ঐতিহাসিক সাফল্য বলে বর্ণনা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। দাতাদের সাহায্য ছাড়াই বিশ্বের ৫ম দীর্ঘতম সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ নিজের সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছে।
প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা। শেখ হাসিনা একটি ডিজিটাল দেশ বিনির্মাণ করেছেন। এখন কাজ চলছে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক দেশ গঠনের। আর এই সব উন্নয়নের মূল শক্তিই হচ্ছে শেখ হাসিনার নেত্বত্ব।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি