Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
সশস্ত্রভাবে সংঘটিত হচ্ছে জামায়াত – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৩ অপরাহ্ন

সশস্ত্রভাবে সংঘটিত হচ্ছে জামায়াত

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩৩০ বার দেখা হয়েছে

স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জামায়াতে ইসলাম নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে। আর এই সংঘটিত হওয়ার পিছনে সংগঠিত হওয়াটা উদ্বেগজনক এ কারণে যে তারা এবার সশস্ত্রভাবে সংঘটিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র কায়দায় অনাসৃষ্টি করা জামায়াতের এখন মূল লক্ষ্য বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর এই মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য রোহিঙ্গাদের উপর তারা অনেকখানি নির্ভরশীল বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে। জামাত একটি সুগভীর নীল নকশা নিয়ে এগুচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। এই নীলনকশার অন্যতম হলো চোরাগুপ্তা হামলা, বিশৃঙ্খলা এবং নানা রকম সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে অস্থিতিশীল করা হবে এবং এই সুযোগে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি একটি রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। আর এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের এক ধরনের মতৈক্য তৈরী হয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধী তৎপরতা, ধর্ষণ, হত্যা, লুণ্ঠন এবং অগ্নিসংযোগের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত। এটি মূলত একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন। আর একারণেই এই সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার দাবি আসছে বিভিন্ন সময় থেকে। যদিও ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করে এবং এই বিচার প্রক্রিয়া জামাতের শীর্ষস্থানীয় সব নেতাই আইনের আওতায় এসেছে এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। কিন্তু এই শাস্তির পরও জামাত নিঃশেষ হয়ে যায়নি, বরং জামাত নতুন নতুনভাবে সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন সময়ে জামাতের গোপন ষড়যন্ত্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। জামাতের বেশকিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তারপরও জামাত বারবার বিভিন্নভাবে রং বদল করে সংঘটিত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে জামাত একটা সশস্ত্র পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই পরিকল্পনায় জামাতের অবৈধ অস্ত্র এবং অর্থের অন্যতম উৎস হলো রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে সঙ্গে জামাতের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কের খবর পাওয়া গেছে এবং এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জামাত আরসার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানা গেছে। আর এর মাধ্যমেই জামাত বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা, সশস্ত্র হামলা এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে জামাত নতুন করে সংঘটিত হচ্ছে। তবে জামাত এই সংগঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন ধরনের কৌশল গ্রহণ করেছে। তারা জামাত ইসলাম নামে নয়, বরং বিভিন্ন সংগঠনের নামে সংঘটিত হচ্ছে। হেফাজতে ইসলামে কিছুদিন আগে জুনায়েদ বাবুনগরী আমীর হওয়ার পর হেফাজত প্রায় পুরোটা দখল করে নিয়েছিল জামাত। এখনও নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলোতে জামাত প্রবেশ করছে এবং সেই সংগঠনগুলোর মধ্যে থেকে কাজ করছে।

জামাতের মূল লক্ষ্য হলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও সশস্ত্র তৎপরতা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে অস্থিতিশীল এবং ব্যাতি ব্যস্ত করে তোলা। আর এই রকম একটি সুযোগে বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করবে। ২০৪১ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের একটি ব্লু প্রিন্ট নিয়ে জামাত কাজ করছে। আর সেই লক্ষ্যে দেশে একটি বিশৃংখল অবস্থা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি বলে জামাতের নেতারা ভাবছেন। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, আসলে জামাতের মূল লক্ষ্য হলো সামনে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৫০ বছর পূর্তি। আমাদের বিজয়ের ৫০ তম বার্ষিকী যেন নির্বিঘ্ন না হয়, শান্তিপূর্ণ না হয়, সেজন্য জামাত বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করবে আগামী মাসে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই জামাত এসমস্ত অপতৎপরতা করছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি