1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

হারিয়ে যাচ্ছে ভাট ফুল

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২
  • ৮০২ বার দেখা হয়েছে

রাস্তার পাশে, ঝোপ ঝাড়ে অনাদরে অবহেলায় বেড়ে ওঠা এই উদ্ভিদ ভাট ফুল নামে পরিচিত। সবুজ বহুপত্রী ভাট গাছের ফুল ধবধবে সাদা। ফুল ফোটে থোকায় থোকায়। ভাট ফুলের পাপড়ি পাঁচটি এবং পাপড়ির গোড়ার দিকটা হালকা বেগুনি রঙের। প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ধন ছাড়াও ওষুধি গুণ রয়েছে। খেলার সামগ্রী হিসেবে শিশুদের কাছে জনপ্রিয় এই ফুল।

ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাবেদুল ইসলাম বলেন, ঋতুরাজ বসন্ত মানে নানা বর্ণের ফুলের আগমন। গ্রাম বাংলার অতিপরিচিত উদ্ভিদ ভাট ফুল। অঞ্চলভেদে বিভিন্ন নাম থাকলেও নীলফামারীতে ভাট ফুল নামে পরিচিত।

এক সময় গ্রামীণ জনপথে ভাট গাছ দেখা গেলেও এখন বসতবাড়ি বেড়ে যাওয়ায় ঝোপঝাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। বন-জঙ্গল নিধন করা হচ্ছে।  তাছাড়াও প্রতিবছর রাস্তা-ঘাট সংস্কার করায় গাছের সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে।

 

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক জোবেদ আলী জানান, ভাট ফুলে আছে অনেক উপকারিতা। বিষাক্ত কিছু কামড় দিলে ফুলের রস ক্ষত স্থানে দিলে দ্রুত সেরে যায়। অনেকে কৃমি দূর করার জন্য এ ফুলের রস খেয়ে থাকেন। চর্ম রোগে নিয়মিত ফুলের রস ক্ষত স্থানে মালিশ করলে দ্রুত সেরে যায়। গরু-ছাগলের গায়ে উকুন হলে ভাট গাছের পাতা বেটে দিলে উকুন মরে যায়। কিন্তু আগের লোকজন ভাট ফুলের ভেষজ ঔষধিগুণ জেনে এসব চিকিৎসা করত। বর্তমান প্রজন্ম এ গাছের গুনাগুণ সম্পর্কে জানে না। তাই এ উদ্ভিদ সংরক্ষণ করা জরুরি।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আজিজার রহমান জানান, ভাট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। পাতা দেখতে কিছুটা পান পাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে একের পর এক ফুল ফোটে। পাপড়ির রঙ সাদা এবং পুষ্পমঞ্জরির মাঝে কলির অগ্র ভাগের রঙ বেগুনি। রাতে বেশ সৌরভ ছড়ায়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি