Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
৫০ মেগাওয়াটের আরও একটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে : রাষ্ট্রপতি জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপিকে কাদেরের চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন : মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক বছর ঘুরে আবারও এলো পহেলা বৈশাখ ফিলিস্তিনসহ সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত যশোরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, দাম বেশি রাখার অভিযোগ

৫০ মেগাওয়াটের আরও একটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৭৪ বার দেখা হয়েছে

দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ৫০ মেগাওয়াট (এসি) শক্তি সম্পন্ন বেসরকারি খাতে নতুন আরও একটি সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর ২০ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরকার ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে কিনে নেবে। প্রতি কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুতের দাম হবে ০.১০২৫ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮.২০ টাকা)। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০ বছরে ব্যয় হবে ১৩২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, নতুন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি খুলনার তেরখাদায় স্থাপন করা হবে। বেসরকারি উদ্যোক্তা হিরো ফিউচার এনার্জিস এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর (এইচএফই এশিয়া) এবং বিজনেস রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন (বিআরআইসি), পানামা যৌথভাবে প্রকল্পটি স্থাপন করবে।

সূত্র জানায়, ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০০৮ অনুযায়ী মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর করতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ (সংশোধন ২০১৮) প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ একটি প্রক্রিয়াকরণ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির পরিকল্পনা ও প্রস্তাবগুলোর কারিগরি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য একটি কারিগরি কমিটিও গঠন করা হয়।

সূত্র জানায়, বেসরকারি খাতে ‘বিল্ড ওন অপারেট (বিওও)’ ভিত্তিতে আইপিপি হিসেবে যৌথভাবে হিরো সোলার এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড, ইন্ডিয়া এবং বিজনেস রিচার্স ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন (বিআরআইসি), পানামা কর্তৃক খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলায় ৫০ মেগওয়াট (এসি) ক্ষমতার সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রস্তাব দাখিল করে।

প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কোম্পানি নিজ অর্থে ও নিজ ব্যবস্থাপনায় প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমির সংগ্রহ, পাওয়ার ইভ্যাকুয়েশনের জন্য আনুমানিক ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৩২ কেভি লাইন, বে নির্মাণ এবং উক্ত ট্রান্সমিশন নির্মাণের জন্য রাইট অব ওয়েসহ প্রয়োজনীয় জমি, সাব ষ্টেশন নির্মাণসহ সম্পূর্ণ প্রকল্প ব্যয় নির্বাহ করবে এবং উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাপের জন্য এনার্জি মিটার পিজিসিবির ১৩২/৩৩ কেভি সাব-স্টেশনের ১৩২ কেভি বাস সাইডে স্থাপন করবে। আলোচ্য কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বিউবো কর্তৃক চুক্তিকৃত অনুরূপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সার্বিক বিবেচনায় হিরো ফিউচার এনার্জি এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড সিঙ্গাপুর (এইচএফই এশিয়া) এবং বিজনেস রিচার্স ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন (বিআরআইসি), পানামা কর্তৃক খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলায় ৫০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প স্থাপনের প্রস্তাবটি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

প্রকল্পটির প্রত্যয়নপত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বিবেচ্য প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০১০ (সংশোধন ২০১৮) এর ধারা ৬(২) অনুসরণ করা হয়েছে এবং বিবেচ্য প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট আইনও বিধি-বিধানের পরিপন্থি নয়। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ন-নীতির কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সুপারিশকুত দরদাতার/দাতাদের প্রস্তাবের সঙ্গে উপস্থাপিত ডকুমেন্টের সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য রয়েছে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে বর্ণিত তথ্য সার-সংক্ষেপে সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, কোন বস্তুনিষ্ঠ/উল্লেখযোগ্য তথ্য সার-সংক্ষেপে অনুল্লিখিত নেই।

সূত্র জানায়, নেগোশিয়েট ট্যারিফ অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট ফ্যাক্টর ও ১৮.৫০ শতাংশ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে উক্ত কোম্পানিকে আনুমানিক ১৩২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি