Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
৬ মাসে বিপিডিবি পাওয়ার গ্রিডের সাড়ে ৫ কোটি শেয়ার বিক্রি করেছে – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে : রাষ্ট্রপতি জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপিকে কাদেরের চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন : মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক বছর ঘুরে আবারও এলো পহেলা বৈশাখ ফিলিস্তিনসহ সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত যশোরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, দাম বেশি রাখার অভিযোগ

৬ মাসে বিপিডিবি পাওয়ার গ্রিডের সাড়ে ৫ কোটি শেয়ার বিক্রি করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
  • ৫৫৩ বার দেখা হয়েছে

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর মালিকানার আরও কিছুটা জনগণের কাছে ছেড়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) গত ছয় মাসে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শেয়ার বিক্রি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশও (পিজিসিবি) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি। এটি দেশব্যাপী বিদ্যুৎ সরবরারের একমাত্র কোম্পানি। এর উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বিপিডিবি।

সরকারের সিদ্ধান্তে শেয়ার বিক্রির আগে বিপিডিবির কাছে পাওয়ার গ্রিডের মোট শেয়ার ছিল ৬০ কোটি ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৮টি, যা পাওয়ার গ্রিডের মোট শেয়ারের ৮৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

বিপিডিবি দুই দফায় পাওয়ার গ্রিডের মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ০৬ হাজার ৮৮১টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল।

পাওয়ার গ্রিডের কোম্পানি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আজাদ বলেন, শেয়ারবাজারে ভালো মানের কোম্পানির শেয়ার সরবরাহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সরকারি কোম্পানির আরও শেয়ার জনগণের মাঝে ছেড়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করছে বিপিডিবি।

সরকারের সিদ্ধান্তে প্রথম দফায় গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪০টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয় বিপিডিবি। এ জন্য তিন মাস সময় পেয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিপিডিবি ওই শেয়ার গড়ে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছিল। এর মধ্যে গত ৪ জানুয়ারি একদিনেই সোয়া কোটির বেশি শেয়ার বিক্রি হয়ে যায়।

এরপর গত ১৫ মার্চ ফের ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪১টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল বিপিডিবি। এবার সময় পেয়েছিল দেড় মাস। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিক্রি করতে না পারায় গত এপ্রিলের শেষে আরো দুই মাস সময় বাড়িয়ে দিয়েছিল  বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা গত ৩০ জুন শেষ হয়।

সূত্র জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার ৩ কোটি ৪৩ লাখ শেয়ারের মধ্যে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এখনও বাকি আছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ। এ শেয়ার বিক্রির জন্য আরো কিছুটা সময় চেয়ে আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ২/৩দিনের মধ্যে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতি মিলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজ এ কোম্পানির শেয়ার ৪৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪৮ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় শেয়ারটি ৪৭ টাকা ৪০ পয়সায় কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। এ সময় পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রায় ৩২ লাখ ৪৫ হাজার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

গত এক বছরে পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার সর্বনিম্ন ৪০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬২ টাকা ৮০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়েছে।

গত ১৫ জানুয়ারি শেয়ারটি সর্বোচ্চ দরে এবং গত ১১ এপ্রিল সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়।

বিপিডিবি শেয়ার বিক্রির শুরুর পর গত ৩০ জুন পর্যন্ত পাওয়ার গ্রিডের প্রায় সোয়া ২১ কোটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ শেয়ারের বিক্রেতা ছিল বিপিডিবি।

বাজার সংক্ষেপ
এদিকে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সাড়ে তিন বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে ওঠার পর শেয়ারদর ও সূচকের কিছুটা নিম্নমুখী ধারা দেখা যাচ্ছে।

বুধবার সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর অধিকাংশ শেয়ার দর বেড়ে কেনাবেচা হয়েছে। এ ধারা প্রথম সোয়া এক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। কিন্তু বেলা সোয়া ১১টার পর থেকে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলো ক্রমে দর হারাতে দেখা যাচ্ছে।

দুপুর সাড়ে ১২টায় ১৫৯ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। এ সময় দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে ১৮১ শেয়ার ও ফান্ডকে। দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হচ্ছিল আরো ৩২ শেয়ার।

বেশিরভাগ শেয়ার দর হারানোয় ডিএসইএক্স সূচক মঙ্গলবারের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট হারিয়ে ৬১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

এ সময় পর্যন্ত ১ হাজার ২১৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।

খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় তথ্য ও প্রযুক্তি, সিরামিক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ওষুধ ও রসায়ন খাতের বেশিরভাগ শেয়ার দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল।

বিপরীতে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, বস্ত্রসহ অন্য সব খাতের বেশিরভাগ শেয়ার দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা যায়। তবে গতকালের মত আজও তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ড দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছে।

গতকালের মত আজও দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারগুলোই দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি