1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

৯ বছরেও অগ্রগতি নেই সাগর-রুনি হত্যা মামলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৩০ বার দেখা হয়েছে

আরেকটি নিরাশার বছর কাটাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহরুন রুনির পরিবার। নয় বছর পেরিয়ে গেলেও ন্যায়বিচার যেন এখনো অনেক দূরেই রয়েছে।এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তদন্তকারীরা অন্তত ৭৮ বারের মতো সময় চেয়েছেন। কিন্তু, চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার কোনও অগ্রগতিই তারা করতে পারেনি।বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙ্গার বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাদের রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় ফ্ল্যাটটিতে ছিলেন তাদের পাঁচ বছর বয়সী একমাত্র পুত্র মাহির সারোয়ার মেঘ।

এত বছরেও আলোচিত এই মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি আদালতে। বারবার পেছানো হচ্ছে তারিখ। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া এলিট ফোর্স র‌্যাব জানিয়েছে, মামলাটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সবকিছু পর্যালোচনা করে সঠিক নিয়মে এবং যথাযথ সময়ে র‌্যাব তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ ব্যাপারে বলেন , মামলাটিতে পেশাদারিত্ব, কর্মদক্ষতার প্রমাণ হিসেবেই র‌্যাব তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তদন্ত কর্মকর্তা অত্যন্ত বিজ্ঞ এবং চৌকস। তার বিজ্ঞতা এবং সবকিছু পর্যালোচনা করে এ মামলা সঠিক নিয়মে যথাযথ সময়ে র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে মামলাটি তদন্ত করছে র‌্যাব। এদিকে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যায় কালক্ষেপণ না করে জড়িতদের শনাক্ত, গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

গত কিছু দিন আগে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।তারা বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের ১০ বছর হলো, অথচ এখনো খুনিদের শনাক্ত করে বিচার হলো না। আমরা এ রহস্য উন্মোচনের দাবি জানাচ্ছি। মানুষ আজ হাসে সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ার কারণে। তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে? হত্যার পর খুনিরা সাগর-রুনির বাসা থেকে ল্যাপটপ নিয়ে গেছে। সে ল্যাপটপ উদ্ধার করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে ল্যাপটপে কী এমন তথ্য ছিল, তাও উন্মোচন হয়নি।

সাগরের মা ইতিমধ্যে গণমাধ্যমকে বলেছেন,যত সময়ই লাগুক না কেন, তিনি তার পুত্র ও পুত্রবধূ হত্যার বিচার চাইবেন।তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, মুজিব বর্ষেই যাতে সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ হয়, তা নিশ্চিত করতে। এটা একটি মাইলফলক হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি