1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

পলাশবাড়ীতে ২৫০ গ্রাম গাঁজাসহ  মাদক ব্যবসায়ির সহযোগী মজনু গ্রেফতার : মূল ব্যবসায়ি পলাতক

বিশেষ প্রতিনিধি গাইবান্ধা জেলা
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১
  • ৪৬০ বার দেখা হয়েছে
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানা  সূত্রে জানা যায়, জেলা সুপার নির্দেশনা মোতাবেক গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানাকে মাদকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও তদারকিতে এসআই(নিঃ) হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মণ এর নেতৃত্বে এ এস আই রামকৃষ্ণ পলাশবাড়ী থানার একটি চৌকস টিম কে নিয়ে পলাশবাড়ী থানাধীন নুনিয়াগাড়ী মৌজাস্থ মিতালী হোটেলের সামনে বারান্দার ভিতর অভিযান পরিচালনা করে গতকাল ১৪ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটের  সময় মাদক ব্যবসায়ী খাজা ওরফে নেংড়া খাজা গাজা ফেলে পালিয়ে গেলেও তার সহযোগী মোঃ মজনু মিয়া(৩০) কে আটক করে পুলিশ । এসময় স্থানীয়রা এ বিষয়ে কিছু না বলতে পারলেও এ এস আই রামকৃষ্ণ জানান গাজা  পোটলা ফেলে খাজা পালিয়ে গেলে পোটলার পাশে মিতালী হোটেলের গেটে দাড়িয়ে ছিলো মজনু তাকে ধরতে ধস্তা ধস্তি করতে গিয়ে খাজা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আটককৃত মজনু মিয়া (৩০) পলাশবাড়ী পৌর এলাকার মৃত মকবুল হোসেন @ দফাদার মকবুল হোসেনের ছোট ছেলে। চিহিৃন্ত মাদক ব্যবসায়ি খাজা ওরফে নেংড়া খাজা মাদকদ্রব্য ২৫০ গ্রাম শুকনা গাঁজা ফেলে পুলিশ কে ফাকি দিয়ে পালিয়ে গেলে তাকে পালানোর সহযোগীতা করার অভিযোগে ইফতারের সময় জন সম্মুখে মজনু মিয়া কে আটক করে। উক্ত ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী খাজা ওরফে নেংড়া খাজাসহ মজনুর বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় একটি মাদক মামলা রুজু হয়েছে।
এঘটনায় আটককৃত মজনুসহ মাদক ব্যবসায়ি খাজা ওরফে নেংড়া খাজার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান । তিনি আরো বলেন এ মামলায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে মিতালী হোটেল ও তার সামনে থাকা পানের দোকানীসহ উপস্থিত জনতাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কেউ মজনুর নিকট হতে গাজা উদ্ধার করার বিষয়ে জানে না বলে জানান । তারা বলেন ইফতারের সময় যখন তাদের হোটেলে জনসাধারণ ইফতার করছে ঠিক সেই মহুর্তে মজনুর সাথে পোষাক বিহীন এক ব্যক্তি ধস্তাধস্তি করে ।  এরপর মজনুসহ পোষাক বিহীন ও ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ অফিসার হিসাবে দাবী করে জানান যে , আটককৃত মজনু গাজা পোটলা ফেলে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে এবং তার কারণে মুল মাদক কারবারি খাজা ওরফে নেংড়া খাজা পালিয়ে যায়।  তবে স্থানীয়রা এ বিষয়ে কোন প্রকার সত্যতা বলতে পারেনি।  তারা এবিষয়ে কিছু জানা না বা দেখেনি বলে জানান।
এরপর ১৫ এপ্রিল পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ এর ব্যবহৃত ওসি পলাশবাড়ী ফেসবুক আইডিতে আটককৃত মজনু (৩০) কে মাদক ব্যবসায়ি হিসাবে উল্লেখ্য করে পোষ্ট দেওয়ায় জনমনে নানা গুণজন শুরু হয়।  স্থানীয়রা বলেন, মজনু মাদক সেবী হতে পারে কিন্তু মাদক ব্যবসায়ি নয়। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ব্যবসায়িকে চিহিৃন্ত করে আইনে আওতায় নেওয়ার দাবী জানান সর্বস্তরের সচেতন মানুষ।
উল্লেখ্য, আটককৃত সরোয়ার কবির মজনু (৩০) পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয় রিক্সা ভ্যান শ্রমিককলীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘ দিন হলো দায়িত্ব পালন করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি