1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

মাস্ক না পড়া নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫, গ্রেফতার ৪

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট : রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৯৭ বার দেখা হয়েছে

মাদারীপুরের রাজৈরে জমি-জমা সংক্রান্ত জের ধরে মাস্ক না পড়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর, মাদারীপুর ও রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে মাদারীপুর আদালতে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায়ের সময় উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদে মাস্ক না পড়ে আসায় শিশু আসিফকে মসজিদ থেকে বের হতে বলে প্রবাসী জহিরুল ইসলাম। এনিয়ে নামাজ শেষে জহিরুল ও ঐ শিশুর নানা লোকমান মাতুব্বরের সাথে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে আহত অবস্থায় লোকমানের ছেলে-মেয়েরা রাজৈর হাসপাতালে আসলে জহিরুলের লোকজন আবারো মেরে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এতে গুরুতর আহত বেলাল হাওলাদার(২৫), লোকমান মাতুব্বর(৮০), আসাদ মাতুব্বর(২৫), রাসেল(২০) ও মোতাহার আকন ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং লতিফ মাতুব্বর(২৮) মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যান্য আহত জহিরুল ইসলাম হাওলাদার(৩০), মোক্তার হাওলাদার(৫৪), মতি হাওলাদার(৪৬), সাদ্দাম হাওলাদার(২৬), শামীম বয়াতী(৩৫), সৌরভ(২৬), তুনা(২৬) সুফিয়া আক্তার(১৯), চায়না(৩৫) রাজৈর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
জহিরুল ইসলাম জানান, আমি ঐ বাচ্চাকে বলেছি তুমি মাস্ক পড়া থাকলে আমার পাসে দাড়াতে পারতে। কিন্তু তুমি তো মাস্ক পড়া নাই। এ কথা বলায় লোকমান মাতুব্বর আমার উপর চড়াও হয়।
লতিফ মাতুব্বর জানান, আমার ভাগ্নে মাস্ক না পড়ে মসজিদে গেলে বের করে দেয়। পরে নামাজ শেষে জহিরুলের সাথে বাবার কথা কাটাকাটি হয়। বাড়ি ফেরার সময় জহিরুল, মোক্তার ও সাদ্দাম পিছন থেকে বাবাকে মারধর করে। চিৎকার শুনে আমরা গেলে আমাদেরও মারধর করে। আমি রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি হতে পারিনি তাই মাদারীপুর হয়েছে। আমাদের লোক ফরিদপুর ভর্তি আছে। সেখান থেকেও তাদের নাম কেটে দিচ্ছে জহিরুলের লোকজন।
বাজিতপুর ইউনিয়নের চেয়্যারম্যন সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আমি শোনার সাথে সাথে বিষয়টি মিমাংসা করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এক পক্ষ আমার কথা শোনে নাই।
ওসি মো. শেখ সাদিক জানান, এ ঘটনায় দু-গ্রুপের ৪ জনকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি