1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

মৃত্যুর সময় এখনো আসেনি, অথচ এরা মরে যাচ্ছে!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৩৪ বার দেখা হয়েছে

এই যে ছবিটা দেখছেন তার নাম কেন্ডাল স্কুটা। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার এবোটসফোর্ড রিজিওনাল হাসপাতালের একজন নার্স তিনি। মঙ্গলবার রাতে ইনটেনসিভ ওয়ার্ডে ডিউটি সেরে এভাবেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। না, তার স্বজন কেউ মারা যাননি হাসপাতালে।

আগের রাতে হাসপাতালে তার ওয়ার্ডে কোভিড আক্রান্ত একজন রোগীর যন্ত্রণা আর মৃত্যুর দৃশ্য তাকে এতোটাই স্পর্শ করে যে তিনি নিজেকে স্বাস্থ্যকর্মীর বিধিনিষেধের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ রাখতে পারেননি। হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তার প্রশ্ন- সামান্য, খুবই সামান্য একটা কাজ মানুষ কেন করতে পারবে না! মহামারী নিয়ন্ত্রণের জন্য মানুষের এই সামান্য কাজটুকুই তো যথেষ্ট! নিজের এই ছবিটি তিনি পোস্ট করেছেন ইন্সটাগ্রামে। সঙ্গে নিজের আকুতি জুড়ে দিযেছেন ছবির সাথে। কেন্ডাল স্কুটা তার পোস্টটা লিখেছেন ব্রিটিশ কলম্বিয়াবাসীর উদ্দেশ্যে।

আমার কাছে মনে হয়েছে, এই বার্তাটি তিনি আসলে দিয়েছেন পুরো কানাডিয়ানদের কাছে, পৃথিবীর মানুষের কাছে। আগের রাতের ডিউটির একটি অভিজ্ঞতার কথাও তিনি লিখেছেন ইন্সটাগ্রামে তার পোস্টে। একজন রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে তার বেদনার্ত মুখ, চিকিৎসক, নার্স অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটাছুটি তাকে ভীষনভাবে স্পর্শ করে। চোখের সামনে ছটফট করতে করতে একজন মানুষের মরে যাওয়ার দৃশ্য তাকে আলোড়িত করে।

হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ’র সংকটের কথা তো সবারই জানা আছে। তিনি বলছেন, গত এক বছর ধরেই এই ভাবে  তিনি মৃত্যু দেখে আসছেন। আর এই সব মৃত্যু তিনি আর সইতে পারছেন না। তিনি বলছেন, সবাই ভাবে, কোভিডে কেবল বয়স্করা মরছে। না, তা ঠিক না। এদের কারোই মৃত্যুর সময় এখনো আসেনি, অথচ এরা মরে যাচ্ছে! জীবনকে শুরুই যে করতে পারেনি, চোখের সামনে তার মৃত্যু কিভাবে মানুষ সইতে পারে!

কেন্ডাল স্কুটা লিখছেন, আমি প্রতিদিনই নিজকে প্রশ্ন করি, মানুষ কখন, কবে এই মহামারীকে সিরিয়াসলি নেবে? কখন? তারপর তিনি আবেদন জানিয়েছেন, দোহাই, তোমাদের কাছে ভিক্ষা চাই, অনুরাধ করি, শুধু এই কাজটুকু করো। ঘরে থাকো, মাস্ক পরো আর যখনি সুযোগ পাও ভ্যাকসিন নিয়ে নাও। আমরা যারা হাসপাতালে কাজ করছি আমরা আর নিতে পারছি না। দোহাই তোমাদের, সামান্য কাজটুকু করো।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি