1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কসবায় পৌর অটোরিকশা ট্যাক্স বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল কসবায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ৮০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আখাউড়ায় ২৮ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলি সহ ৩ জনকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে কোটিপতি: সিডিএর গাড়ি চালক মহিউদ্দিনের অবৈধ সাম্রাজ্য! কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-বাবরসহ আটজন শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে   আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে জাল টাকার কারিগর, এক লাখ টাকার পাইকারি দাম ১০ হাজার টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৩ মে, ২০২১

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করে একটি মোবাইল কোম্পানির নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়। তবে সময়ের ব্যবধানে এখন কাজ করছেন জাল টাকা তৈরির কারিগর হিসেবে।

সোমবার (৩ মে) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি বাসায় জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন ইঞ্জিনিয়ার।

গ্রেফতাররা হলেন- জীবন হোসেন, মোহাম্মদ ইমাম হোসেন ও পিয়াস করিম। এসময় ওই কারখানা থেকে ৪৬ লাখ জাল টাকাসহ বিপুল পরিমাণ জালটাকা তৈরির সামগ্রী উদ্ধার করে ডিবি গুলশান বিভাগ।

ডিবি পুলিশ জানায়, একটি ভাড়া বাসায় জাল টাকার মিনি কারখানা স্থাপন করেছিলেন জীবন ও তার দলের সদস্যরা। ওই দলের সদস্য ইমাম ও পিয়াস ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, এর মধ্যে ইমাম দীর্ঘসময় নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কাজ করেছেন।

চক্রটি ঈদ সামনে রেখে কামরাঙ্গীরচরে জাল টাকা তৈরির ব্যবসা শুরু করে গত তিনমাস ধরে। চক্রটির দলনেতা জীবন এর আগেও জাল টাকা তৈরির অপরাধে একাধিকবার জেল খেটেছেন। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে আবার জাল টাকা বানানোর কাজ শুরু করেন।

পিয়াস ও ইমাম হোসেন বরিশাল পলিটেকনিক থেকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা করেছেন। ইমাম নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। বেশি টাকা পাওয়ার লোভে ভালো চাকরি ছেড়ে জাল টাকা তৈরির অবৈধ কাজে জড়িয়ে যান তারা।

ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, গ্রেফতারদের কাছ থেকে দু’টি ল্যাপটপ, দু’টি প্রিন্টার, হিট মেশিন, বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিন, ডাইস, জাল টাকার নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন ধরনের কালি, আঠা ও স্কেল কাটারসহ আরও সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। যা দিয়ে আরো অন্তত দেড় কোটি জাল টাকা তৈরি করা সম্ভব হতো।

তিনি বলেন, দুই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের তৈরি জাল টাকার মান যথেষ্ট উন্নত। খালি চোখে দেখে বোঝারই উপায় নেই এগুলো জাল টাকা। জাল টাকার এই এক লাখ টাকার বান্ডিল পাইকারি ক্রেতার কাছে ১০-১১ হাজার টাকায় বিক্রি করতো চক্রটি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি