1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কসবায় পৌর অটোরিকশা ট্যাক্স বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল কসবায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ৮০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আখাউড়ায় ২৮ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলি সহ ৩ জনকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে কোটিপতি: সিডিএর গাড়ি চালক মহিউদ্দিনের অবৈধ সাম্রাজ্য! কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-বাবরসহ আটজন শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে   আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব

নোয়াখালীতে ‘অস্বাভাবিক’ হারে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপডেট : বুধবার, ৯ জুন, ২০২১

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাবে, পুরো জেলায় গত আট দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৬০৬ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন চারজন। এর আগের দুই মাসে (এপ্রিল ও মে) জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৭৭১ জন। মারা গেছেন ১৪ জন।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পুকুরের পানিও দূষিত হয়ে পড়েছে। এসব পানি ব্যবহারের ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আক্রান্তের হার ‘অস্বাভাবিক’ বলছেন চিকিৎসকেরা। আক্রান্ত রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের কারও কারও নলকূপের পানিতে লবণাক্ততা রয়েছে। স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ভাষ্য, পরীক্ষার আগে নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না।

সুবর্ণচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন চর বাগ্গা এলাকার ছয় বছরের শিশু মো. জাহেরের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, চার-পাঁচ দিন ধরে তাঁদের বাড়িতে ডায়রিয়া। তাঁর দুই ছেলে ছাড়াও পাশের ঘরের আরও তিন শিশু আক্রান্ত। তাঁরা পুকুরের পানি ব্যবহার করেন। পান করেন নলকূপের পানি। তবে নলকূপের পানিতে কয়েক মাস ধরে লবণের হালকা ভাব রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ডায়রিয়া রোগীদের যে ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে তীব্র দুর্গন্ধ। রোগীদের বিছানাপত্রের আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। ওয়ার্ডে শয্যা সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ নার্স আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, দুই মাস ধরে ডায়রিয়া রোগীর চাপ। নার্স ও আয়ার সংকট হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক গোপী নাথ দাশ বলেন, টানা খরার কারণে পুকুরের পানি তলানিতে নেমে গেছে। এতে যেটুকু পানি ছিল, তা–ও নোংরা। তা ছাড়া আক্রান্ত রোগীর কাপড়চোপড় পুকুরে ধোয়ার কারণেও নতুন করে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শায়লা সুলতানা বলেন, সুবর্ণচরে ডায়রিয়া আক্রান্তের হার কমছে না। রোগীদের জন্য সরবরাহ করা অ্যান্টিবায়োটিকের মজুতও শেষ হয়ে এসেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। অনুদান পাওয়া দেড় লাখ টাকা দিয়ে কলেরা স্যালাইন সংগ্রহ করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম জানান, এপ্রিল ও মে মাসে তাঁর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৮৭ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হন। গতকাল ২৫ জন ভর্তি ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা দরকার বলে মনে করেন নোয়াখালী জেলা সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের চিকিৎসক সোহেল সারওয়ার। তিনি বলেন, সাধারণত এ সময়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ে। কিন্তু এবার অস্বাভাবিক। শিশুদের পাশাপাশি অন্য বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন সমানে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি