1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

ঝুলন্ত তার কাটা না থামালে সেবা বন্ধ রাখার হুমকি আইএসপিএবি’র

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০
  • ৭০৫ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিকল্প ব্যবস্থা না করে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন থেকে ঝুলন্ত তার অপসারণের কাজ বন্ধ না করলে ১৮ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা সারাদেশে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।

সোমবার দুপুরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা আমাদেরকে না করে দেওয়া পর্যন্ত অনুরোধ করব তার অপসারণের কাজটা থামিয়ে রাখার জন্য। অন্যথায় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না করা হলে আগামী ১৮ অক্টোবর রোববার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারাদেশে বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, ব্যাংকসহ সকল পর্যায়ে ইন্টারনেট ডেটা কানেক্টিভিটি ও কেবল টিভির সেবা প্রতীকীভাবে বন্ধ রাখা হবে, যতদিন না আমাদের এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে।

আইএসপিএবির ৫ দফা দাবি হল: ১. স্থায়ী সমাধান না করা পর্যন্ত কোনো ঝুলন্ত তার অপসারণ করা যাবে না। ২. আইএসপিএবি, কোয়াব, বিটিআরসি, এনটিটিএন এবং সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে লাস্ট মেইল কেবল স্থাপন করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে একটি কমিটির মাধ্যমে সরেজমিন তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাসা-বাড়ি, অফিস-ব্যাংকসহ সকল পর্যায়ের ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবার মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। ৪. গ্রাহক পর্যায়ে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবা দিতে এনটিটিএন এর মূল্য সরকার থেকে নির্ধারণ করতে হবে। ৫. এনটিটিএনগুলোর (নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) গ্রাম পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতের সার্বিক সক্ষমতা আছে কিনা তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আইএসপিএবি ও কোয়াবের এই যৌথ সংবাদ সম্মেলন হয়।

নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) আওতাধীন অপারেটরদের ভূগর্ভস্থ লাইন দিয়ে ইন্টারনেট ও কেবল টিভির সেবা দেওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, টেলিফোন লাইন ও ডিশ লাইনের তার বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধেই বাড়ি বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঢাকার প্রায় সব রাস্তার পাশেই মাথার ওপর এখন তারের জঞ্জাল। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা এসব তার ছিঁড়ে মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে; কখনও কখনও অগ্নিকাণ্ডেরও কারণ ঘটায়। উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের সঙ্গে ইন্টারনেট, টেলিফোন ও কেবল টিভির এসব তার অপসারণে আদালতের নির্দেশ থাকলেও মানছে না কোনো সেবা সংস্থা।

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তারের এই জঞ্জাল অপসারণ শুরু হয়েছে কিছুদিন আগে। কিন্তু তার কাটার পর সংযোগ দিতে নতুন করে আবার তার টানছে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে কয়েক ঘণ্টার ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকরা।

এই অভিযানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ১০ কোটি বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তাদের আইএসপিএবির দাবি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি