1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন

কী শাস্তি হতে পারে সাকিবের?

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট : শনিবার, ১২ জুন, ২০২১
  • ২৪৬ বার দেখা হয়েছে

দেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান মানেই যেনো আলোচিত সব ঘটনা এবং পক্ষে-বিপক্ষে নানান তর্ক-বিতর্ক। বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের।

শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে জমজমাট আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ চলাকালীন সময়ে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মনঃপুত না হওয়ায় প্রথমে লাথি মেরে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন সাকিব। এর পরের ওভারে তিনটি স্ট্যাম্পই তুলে সজোরে মাটিতে আছড়ে ফেলেন তিনি। যা নিয়ে বিকেল থেকেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

আবাহনী ও মোহামেডান; বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই দল। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি- সব খেলাতেই দুই দলের লড়াই বাড়তি উত্তেজনার সষ্টি করে। কিন্তু বহু বছর ধরে দুই দলের লড়াইয়ে সেই উত্তেজনা নেই। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টি-২০ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে গতকাল হঠাৎই সেই উত্তেজনা ফিরে আসে। তবে ব্যাট ও বলের লড়াইয়ে নয়। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিতর্কিত কান্ডে।

আম্পয়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে মোহামেডান অধিনায়ক লাথি মেরে উইকেট ভাঙেন। এরপর উইকেট উপরে ফেলেন এবং আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হন। এমন সব কাণ্ডের পরও বৃষ্টিস্নাত কার্টেল ওভারের ম্যাচটি মোহামেডান জিতেছে ৩১ রানে।

যদিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরো ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। তবুও সাকিবের এমন অস্বাভাবিক আচরণের ঘটনাটি খতিয়ে দেখবে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সিসিডিএম। ম্যাচের দুই আম্পায়ার ইমরান পারভেজ ও মাহফুজুর রহমান এবং ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে সিসিডিএম।

ম্যাচ শেষে বিসিবি পরিচালক ও সিসিডিএম প্রধান কাজী ইনাম বলেছেন, খেলার মাঠে অনেক কিছুই হয়। আজ আবাহনী-মোহামেডানের খেলা ছিল এবং এখানে বেশ উত্তেজনা ছিল, কিছু ঘটনাও ঘটেছে। সাকিব আল হাসানকে আমরা দেখতে পেয়েছি। এটা ফেসবুক লাইভ এবং ইউটিউব লাইভেও ছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ম্যাচ রেফারির দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে নেওয়া হবে সাকিবের শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত।

এ ব্যাপারে কাজী ইনাম বলেন, ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেখানে উত্তপ্ত একটি মুহূর্ত এসে যেতে পারে। কিন্তু আমরা আশা করি, সবসময় খেলোয়াড় তাদের মেজাজ ধরে রাখবে। যাই হোক, এটা স্বীকৃত ম্যাচ, এখানে নিয়ম আছে। ম্যাচ রেফরি, আম্পায়ারা একটা প্রতিবেদন দেবেন। নিয়ম ভাঙলে কী হয়, সেটাও সবাই জানে। আম্পায়াররা যদি আচরণবিধির লেভেল টু লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন, তাহলে শাস্তি হবে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা অথবা এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক জরিমানা। আর যদি লেভেল ফোর ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা হবে কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচের।

সিসিডিএম প্রধান আরও বলেন, ক্রিকেটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কখনও তার সিদ্ধান্ত আপনার পছন্দ নাও হতে পারে, কিন্তু খেলাটা তো চালিয়ে যেতে হবে। আমি জানি না সিদ্ধান্ত কী ছিল তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ম্যাচের মধ্যে অনেক সময় কোনো কারণে খেলোয়াড় উত্তেজিত হয়ে যেতেই পারে, কিন্তু তাদের সবার বিশেষ করে সিনিয়র খেলোয়াড়দের অবশ্যই মেজাজ ধরে রাখতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকের ম্যাচে সেটা হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি