1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে অবৈধভাবে অধ্যক্ষসহ ৫ পদে নিয়োগের অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১
  • ১৬৬ বার দেখা হয়েছে

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন চন্ডিপুর আলহাজ্ব গেন্দা মরিয়ম সিনিয়র (আলিম) মাদরাসায় অবৈধভাবে অধ্যক্ষসহ ৫ পদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র অফিসে দাখিল করে দ্রæত কাজ করতে চাপ সৃষ্টি করা হ”েছ। বিল প্রদান কার্যক্রম বন্ধে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কর্তৃক আদালতের আদেশসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। এ মাদরাসায় সভাপতির একক সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে। মানা হ”েছনা সরকারি বিধি-বিধান। শুধু নিয়োগ বানিজ্য করে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই সরকারি বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিনিয়র থাকতেই জুনিয়রকে দেয়া হয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব। যার কারণে দু’টি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে। এসব অপকর্ম করার কারণে হয়েছে মামলা হয়েছে একাধিক। তারপরও আদালতের আদেশ থাকা সত্বেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছাড়াই দেয়া হয়েছে ৫ টি পদে নিয়োগ। এসবের মূল কারণই হচ্ছে নিয়োগ বানিজ্য।
একাধিক মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের কমিটি ১০ জুলাই/১৯ তারিখে অনুমোদন হয়। এ কমিটিতে আসাদুজ্জামান নুর ¯’ানীয় এমপির সুপারিশ পত্র মোতাবেক সভাপতি নির্বাচিত হন। কমিটির প্রথম সভা ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হলে বিদ্যোৎসাহী সদস্য সংযুক্ত (কো-অপ্ট) করা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এই মতবিরোধ থেকে গভর্নিং বডির মধ্যে দু’টি পক্ষ সৃষ্টি হয়। এ অব¯’ায় অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন আহমদ ও সভাপতি ৩ জন সদস্যের স্বাক্ষর জ্বাল করে বিদ্যোৎসাহী সদস্য কো-অপ্ট করে রেজুলেশন করেন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার জন্য। স্বাক্ষর জ্বালকে চ্যালেঞ্জ করে গভর্নিং বডির ৭ জন সদস্য করে আদালতে ১৪৪/১৯ নং মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত স্বাক্ষর জালের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে আদেশ দিয়ে কো-অপ্ট সদস্য ও নিয়োগের বিষয়ে অ¯’ায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এদিকে অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন আহমদ ৩০ সেপ্টেম্বর/১৯ অবসরে গেলে ৩ অক্টোবর/১৯ গভর্নিং বডির সভাপতি ছাড়া ৮ জন সদস্যের উপ¯ি’তিতে সভায় সর্বাপেক্ষা জ্যৈষ্ঠ সহকারী অধ্যাপক বজলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পেয়ে বজলুর রহমান সুষ্ঠভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনাসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-বিল প্রদান করতে থাকলে সভাপতি তার উপর রূষ্ট হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর/১৯ তারিখে ব্যাকডেটে রেজুলেশন করে বজলুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত দেখিয়ে জুনিয়র প্রভাষক আইয়ুব আলীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। জুনিয়র প্রভাষককে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে বজলুর রহমান মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেন। তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ায় তিনি মহামান্য হাইকোর্টে ৫২৪০/২০ নং রিট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট মাদরাসা বোর্ডকে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য আদেশ দেন। মাদরাসা বোর্ড বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য উভয় পক্ষের দালিলিক ও মৌখিক শুনানীঅন্তে এক পত্র জারী করেন। পত্রে বজলুর রহমানের সাময়িক বরখাস্ত যথায়থ প্রক্রিয়ায় হয়নি মর্মে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে বহাল রেখে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করেন। অপরদিকে সাময়িক বরখাস্ত ও বিল-ভাতা বন্ধের রেজুলেশনকে চ্যালেঞ্জ করে বজলুর রহমান সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধায় ১/২০২১ (অন্য) নং মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত ওই দিনেই সভাপতিসহ সকল বিবাদীর প্রতি অন্তর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। অতপর ২৭ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালত বজলুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্তের রেজুলেশন কার্যকরী করতে পারবেনা, রেজুলেশনে স্বাক্ষরকারী ১-৬ নং সদস্য বজলুর রহমানের কাজে বাধা বিঘেœর সৃষ্টি করতে পারবেনা এবং জুনিয়র প্রভাষক আইয়ুব আলী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেনা বলে আদেশ দিয়ে অস্থায়ি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি চুড়ান্ত করেন।
তারপরও সভাপতি আসাদুজ্জামান নুর গত জুন মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বজলুর রহমানকে বাদ দিয়ে গভর্নিং বডির কোরাম ছাড়াই সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, পরি”ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া একজন করে মোট ৫ টি পদে নিয়োগ প্রদান করে তাদের বিল-ভাতা প্রদানের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কাগজ পত্র দাখিল করে দ্রæত কাজ করতে চাপ সৃষ্টি করছেন। এবিষয়ে উক্ত মাদরাসার অভিভাবক সদস্য খলিলুর রহমান জানান, কমিটির কোরাম ছাড়াই সভাপতি নিয়োগ বানিজ্য করতে এসব নিয়োগ দিয়েছে। অভিভাবক সদস্য আব্দুল খালেক জানান, ১১ সদস্যের কমিটিতে আমরা নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য ও দাতাসহ মোট ৬ জন সদস্য কিছুই জানিনা। সভাপতি তার স্বার্থ হাসিলে জুনিয়র প্রভাষক আইয়ুব আলীকে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করে নিয়োগ বানিজ্য করেছে। কত টাকা বানিজ্য করেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন টাকা লেনদেন করতে দেখিনি। এখন শুনতেছি ৫ টি পদে অর্ধ কোটি টাকার মত বানিজ্য করেছে। সাবেক অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন আহমদ জানান আমার অবসরের আগে কাউকে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। সভাপতি কিভাবে কি করেছে তা জানা নেই। বিধি মোতাবেক সর্বাপেক্ষা সিনিয়র দায়িত্ব পাওয়ার কথা। এব্যপারে জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মাদরাসার সভাপতি আসাদুজ্জামান নুরের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান অধ্যক্ষসহ ৫ টি পদে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের বেতন/ভাতার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন লকডাউনের কারণে আদালতে মামলা ধরা নাই। বিধি বহির্ভূত জুনিয়র প্রভাষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। জুনিয়র প্রভাষক আইয়ুব আলী জানান, গত জানুয়ারি মাস থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিনা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডল জানান নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের আদেশের আলোকে কোন কার্যক্রম করা সম্ভব হচ্ছেনা।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি