জনবল সংকটে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল। লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি রাকিব হোসেন সোহেল, লক্ষ্মীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডক্টর আব্দুল গাফফর বলছেন। জনবলের ঘাটতির কারণে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ১০০ শয্যা হাসপাতালে প্রতিদিন দ্বিগুণের বেশি রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে তাই ইচ্ছে থাকা সত্বেও সকল রোগীকে পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট করা সম্ভব হয় না।বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সদর লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়ন লক্ষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এবং নাগরিক সচেতন। কমিটির (সনাক),লক্ষীপুরের মধ্যে আয়োজিত অনলাইন।ভিত্তিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।করোনার সংকটের স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক চিত্র প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় প্রেক্ষিত। লক্ষ্মীপুর সদর শীর্ষক মতবিনিময় সভায় করোনাকালীন সংকট মোকাবিলায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ বাস্তবায়ন এবং চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা হয়।শনাক্ত লক্ষীপুর সভাপতি প্রফেসর জেড এম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ডঃ আনোয়ার হোসেন।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন বলেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও। ৫০ জনবল দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে যা খুব চ্যালেঞ্জিং। তিনি আরও বলেন।একাধিকবার লোকবলের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার শর্তেও পর্যাপ্ত লোকবলনা পাওয়ায় সেবা হিমশিম খেতে হচ্ছে করোনা স্যাম্পল কালেকশনে একজন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন।বিষয়টি আলোকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে।ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন।হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি অভিযোগ জানানোর জন্য সিভিল সার্জন এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে সেইখানে লোকজন অভিযোগ জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা ডঃ আনোয়ার হোসেন বলেন।বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকার শর্তেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দৈনিক গড়ে ৮০০ থেকে এক হাজার রোগীর সেবা প্রদান করা হচ্ছে।যা চলমান রয়েছে, তিনি আরো বলেন কোনো সেবাপ্রার্থী সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলে এবং তক্ষণাৎ তাকে অবহিত করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।টিআইবি চট্টগ্রামের ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন লক্ষ্মীপুরে স্বাস্থ্য কতৃপক্ষ বিশেষ করে সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালে কতৃপক্ষকে (সনাক)-টিআইবি’র কাজে সহযোগিতার জন্য।ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন। সমগ্রহ বাংলাদেশ কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যে সকল ভাল উদ্যোগ রয়েছে।নিচে লক্ষ্মীপুর তার গর্বিত অংশিদার সার্বিকভাবে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকার পর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আন্তরিকতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।আমরা আন্তরিকভাবে আন্তরিকতার সহিত নিশ্চয়ই কাংখিত মানের সেবা প্রদান করতে পারবো। তিনি আরো বলেন লক্ষ্মীপুরে স্বাস্থ্যসেবার মান আরো উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।টিআইবি লক্ষীপুরের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোঃ বেলাল হোসেন এর সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন (সনাক),সদস্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির আহবায়ক ডক্টর মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শরীফ। এবং উন্মুক্ত আলোচনা অংশগ্রহণ করেন (সনাক),সহসভাপতি পারভিন হালিম সনাক সদস্য সুলতানার মাসুমা ও ইয়েস দল নেতা শান্ত চন্দ্র পাল। অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর জেড এম ফারুকী তার বক্তব্য করোনাকালীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে চিকিৎসকদের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন। হাসপাতালের সেবা দিতে এসে রোগীরা যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হয় এবংসঠিকভাবে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে পারে সে বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।তিনি আরো বলেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য চোখে পড়ার মতো যার কারণে সেবা প্রার্থীরা বিড়ম্বনার শিকার হন। এবং তিনি এই ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কামনা করেন এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সড়ক লক্ষীপুর এর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।