ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘একাত্তরের ডিসেম্বরের মতো এত বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবী হত্যার উদাহরণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া আর কখনো ঘটেনি।’
তিনি বলেছেন, ‘ডিসেম্বরে পরাজয়ের আগ মুহূর্তে হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকরা বিবেকের কণ্ঠস্বরের জাগ্রত রেখে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেজন্যই তারা নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন।’
মন্ত্রী মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত কয়েকজন শীর্ষ অপরাধীর বিচার ও শাস্তি কার্যকর হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ বেরিয়ে আসতে পেরেছে। এটি জাতির জন্য স্বস্তির।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় দিবসের প্রাক্কালে আজকের এই দিনে আমরা জাতির এই মহান সন্তানদের শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করি। যারা নিজেদের মেধা, জ্ঞান ও পরিশ্রমে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন, আলোকিত করেছেন, তাদের বছরের একটি দিন স্মরণ করাই যথেষ্ট নয়। আমাদের অনুধাবন করতে হবে কেন এই মহৎপ্রাণ মানুষগুলো জীবন দিয়েছেন।’
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চিন্তা ও আদর্শ ধারণ করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় মন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘বাঙালি জাতির এই মেধাসম্পদ ধ্বংসকারী পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এই দেশীয় দোসর রাজাকার আলবদর ও আল-শামস বাঙালির যে ক্ষতি করেছে, তা কোনোদিন পূরণ হওয়ার নয়।’