সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০ পয়েন্ট পড়ে যায়।
কিন্তু লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা না গড়াতেই ঘটে ছন্দপতন। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার তালিকায় নাম লেখায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। ফলে বড় পতন দিয়ে শেষ হয় দিনের লেনদেন।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৭৮৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৫৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৮৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮০৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৭৩ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়ান ব্যাংকের ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ৩৩ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফরচুন সুজের, অ্যাক্টিভ ফাইন, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, আইএফআইসি ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, জিনেক্স ইনফোসিস এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৬৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৪টির এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত।