মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর প্রথমবারের মত মুখ খুললেন পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ। শুরুতে তিনিই প্রশ্ন করলেন, হোয়াই মি? পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন, এটা আকস্মিক, দু:খজনক, বানোয়াট এবং কল্পনাপ্রসূত। আরো বলেন, তিনি যা করেছেন, তার সবই রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
তাঁর সময় রাজনৈতিক নয়, নগরবাসীর শান্তির হাতিয়ার হিসেবেই পুলিশ কাজ করছে বলেও দাবি করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক।
৩৩ বছরের পেশাগত জীবনে ঢাকার পুলিশ কমিশনার, র্যাবের মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালনের ধারবাহিকতায় এখন পুলিশের সর্বোচ্চ অভিভাবক- মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
গত ১০ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাকে নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেছেন, যা হয়েছে সব আইন মেনেই হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, হেফাজতের ঢাকা অবরোধে যারা সফল হয়নি বা টানা চার মাস ২০১৫ সালে যারা ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি, তারা বেনজীর আহমেদের দায়িত্ব পালনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে দেখেন।
টেকনাফে র্যাবের হাতে পৌর কাউন্সিলর একরামের নিহত হওয়া নিয়েও প্রশ্ন ছিল পুলিশ প্রধানের কাছে। এনজিওদের তথ্যদাতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন বার্তায়। আর সিভিল সোসাইটির অভিযোগ, যা করার কথা নয়, তেমন কাজও করে র্যাব।
এসবের উত্তরে বেনজীর আহমেদ বলেন, সব কিছু আইন মেনেই হয়েছে। যদি আইনের কোন ব্যতয় হয়ে থাকে, সেটিও যথাযথভাবে দেখছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘ সাক্ষাতকারে বেনজীর আহমেদ বলেন, মনোবল ভাংগার প্রশ্নই উঠে না। বরং এমন ধাক্কায় নিজেদের পেশাগত প্রত্যয় দৃঢ় হয়েছে পুলিশের।
আর আজকের যে র্যাব, তার দক্ষতার পেছনে বৃটিশ-মার্কিন প্রশিক্ষণের অবদানও রয়েছে বলে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। সূত্র: চ্যানেল ৭১