1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

৫ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বার্সাকে হারিয়ে শেষ আটে বিলবাও

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৩২ বার দেখা হয়েছে

জাভি হারনান্দেজের অধীনেও নিজেদের ঠিক মেলে ধরতে পারছে না বার্সেলোনা। তেমনটাই ঠিক দেখা গেল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাতে কোপা ডেল রের শেষ ষোলোর ম্যাচে। এ সুযোগে পুরো ম্যাচে কাতালানদের চাপে রেখে দুই দফায় এগিয়ে যায় আথলেটিকো বিলবাও। তবে দুই মুহূর্তের চমকে সমতা টানে ন্যু-ক্যাম্পের। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে আর পেরে ওঠেনি তারা। ১২০ মিনিটের লড়াইয়ে সেরা দল হিসেবেই কোপা ডেল রের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে বিলবাও।

বৃহস্পতিবার ইনাকি মুনিয়াইনের নৈপুণ্যে বিলবাও এগিয়ে যাওয়ার পর দারুণ গোলে সমতা টানেন বার্সেলোনার ফেররান তরেস। ইনিগো মার্তিনেসের সৌভাগ্যসূচক গোলে বিলবাও আবার এগিয়ে যাওয়ার পর যোগ করা সময়ের শেষ দিকে আবার সমতা টানেন পেদ্রি। পরে অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোলে জয় নিশ্চিত করেন মুনিয়াইন।

কোয়ার্টারে ওঠার লড়াইয়ের শুরুতেই বৃহস্পতিবার এগিয়ে যায় বিলবাও। সতীর্থের ডান দিকে বাড়ানো থ্রু বল গতিতে জর্দি আলবাকে পেছনে ফেলে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ দিকে পাস দেন নিকো উইলিয়ামস। প্রস্তুত ছিলেন মুনিয়াইন। বল ধরে ঠাণ্ডা মাথায় উঁচু কোনাকুনি শটে দূরের পোস্টে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।

ব্যবধানটা অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ২০তম মিনিটে দারুণ গোলে সমতা টানেন তরেস। সের্হিও বুসকেতসের পাস ডি-বক্সে বাঁ দিকে পেয়ে একজনকে কাটিয়ে জোরাল উঁচু শটে বল জালে পাঠান তরুণ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক।

বিরতির পর এগিয়ে যেতে প্রাণপণ চেষ্টা করে বিলবাও। এজন্য বার্সেলোনা শিবিরে দলটি একের পর এক আক্রমণ করে। তবে কিছুতেই মিলছিলো না কাঙ্খিত গোলের দেখা। শেষ পর্যন্ত ৮৫তম মিনিটেই প্রত্যাশিত গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের নেওয়া ফ্রি কিকে দূরের পোস্টে হেড করেন আলেক্স। ম্যাচের ঘড়িতে তখন চার মিনিট যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিট শেষ। জয়ের প্রহর গুনছে বিলবাও। ঠিক সেই সময় পেদ্রির চমৎকার গোলে উল্লাসে ভাসে বার্সেলোনা।

অতিরিক্ত সময়ে আক্রমণ করতে থাকে বিলবাও আর তা ঠেকাতে ব্যস্ত বার্সেলোনা। এমন সময়ে মুনিয়াইনের সফল স্পট কিকে আবারও এগিয়ে যায় বিলবাও। এবার আর ব্যবধান ঘোচাতে দেয়নি তারা। ডি-বক্সে নিকো উইলিয়ামসের শটে বল আলবার হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টিটির বাঁশি বাজান রেফারি। শেষ দিকে কিছুটা মরিয়া হয়ে উঠতে দেখা যায় বার্সেলোনাকে। তবে উল্লেখযোগ্য আর কিছুই করতে পারেনি মৌসুমের শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা দলটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ জয়শূন্য রইল বার্সা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে আগেই বিদায় নিয়ে ইউরোপা লিগে নেমে গেছে বার্সেলোনা। এবার ছিটকে গেল স্প্যানিশ কাপ নামে পরিচিত স্পেনের দ্বিতীয় সেরা এই টুর্নামেন্ট থেকেও।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি