1. admin@jatioarthonitee.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কসবায় পৌর অটোরিকশা ট্যাক্স বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল কসবায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ৮০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আখাউড়ায় ২৮ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলি সহ ৩ জনকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে কোটিপতি: সিডিএর গাড়ি চালক মহিউদ্দিনের অবৈধ সাম্রাজ্য! কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-বাবরসহ আটজন শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে   আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব

পরবর্তী মহামারি হতে পারে নিপা ভাইরাস

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২১

গত এক বছর ধরে করোনাভাইরাস মহামারি সামালাতেই ঘাম ছুটে যাচ্ছে বিশ্বের বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোর। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ঠেকাতে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে তাদের। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন বাজারে এসেছে, অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরও কয়েকটি। এতে করোনা মহামারি সমাপ্তিতে আশার আলো দেখা দিয়েছে ঠিকই, সঙ্গে প্রশ্নও তুলে দিচ্ছে- পরবর্তী মহামারি ঠেকাতে কতটা প্রস্তুত বিশ্ব?
নেদারল্যান্ড-ভিত্তিক অ্যাকসেস টু মেডিসিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জয়শ্রী কে আইয়ার জানিয়েছেন, সম্প্রতি চীনে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রাণঘাতী নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এটিই হতে পারে পরবর্তী বৈশ্বিক মহামারি।
তিনি বলেন, নিপা ভাইরাস হলো আরেকটি ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ, যা বড় উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এটি যেকোনো মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি পরবর্তী মহামারি ওষুধপ্রতিরোধীও হতে পারে।নিপা ভাইরাসের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা এবং এনসেফালাইটিস (মস্তিষ্ক ফুলে যাওয়া) সৃষ্টি হতে পারে। প্রাদুর্ভাব কোথায় ঘটছে তার ওপর নির্ভর করে এতে মৃত্যুহার ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
নিপা ভাইরাস সাধারণত বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। বাংলাদেশ ও ভারতে খেজুরের রস পানের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিহ্নিত সবচেয়ে ভয়াবহ ১০টি সংক্রামক রোগের একটি নিপা ভাইরাস। অথচ এর মহামারি ঠেকাতে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও কোনো প্রস্তুতি নেই।
জানা গেছে, গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াতে থাকা মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ঠেকাতে বর্তমানে চারটি পণ্যের কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি ভ্যাকসিন, একটি ওষুধ, একটি ডায়াগনস্টিক যন্ত্র এবং একটি কীটনাশক স্প্রে, যেটি ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও কাজ করবে।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের আগে ওষুধ প্রস্তুতকারীদের পাইপলাইনে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কোনও উদ্যোগ ছিল না। তবে মহামারিটি ছড়িয়ে পড়ার পর কয়েক মাসের মধ্যেই বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এই রোগ সংক্রান্ত ৬৩টি ভ্যাকসিন ও ওষুধের কাজ প্রক্রিয়াধীন।জয়শ্রী আইয়ার বলেন, আমাদের যেসব অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, সেগুলো হয়তো এখনো কাজ করছে। তবে সেগুলো প্রতিস্থাপনের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা যে যক্ষ্মাকে নির্মূল করতে পারব ভাবতাম, সেটি ওষুধপ্রতিরোধী ধরনের কারণে বেশ কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।ভবিষ্যৎ মহামারির বিষয়ে সতর্ক করে এ বিশেষজ্ঞ বলেন, এমন একটি মহামারি, যেখানে ওষুধপ্রতিরোধী জীবাণু রোগ সৃষ্টি করবে, সেটি আর অকল্পনীয় নয়, অনিবার্যও বটে, যতক্ষণ না ফার্মা শিল্প গুরুত্বসহকারে বিকল্প অ্যান্টিবায়োটিক তৈরির উদ্যোগ নেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি