1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন

‘ওয়াসা খাতে রাজধানীবাসীদের জন্য ভর্তুকি দিতে চাচ্ছে না সরকার’

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২
  • ১৬৫ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, সরকার ভর্তুকি দিয়ে রাজধানীতে পানি সরবরাহে আগ্রহী নয়। সরকার ভর্তুকি দেয় ট্যাক্সের পয়সা থেকে।

সোমবার (১৮ জুলাই) বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ওয়াসার এক ইউনিটে এক হাজার লিটার। এক হাজার লিটারের প্রোডাকশন, ডিস্ট্রিবিউশনসহ সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ২৫ টাকা। আমরা বিক্রি করছি ১৫ টাকায় এক ইউনিট বা এক হাজার লিটার। ১০ টাকার একটা ঘাটতি থাকছে। এই ঘাটতি আসছে সরকারের ভর্তুকির মাধ্যমেই। তাই সরকার ভর্তুকি দিয়ে রাজধানীতে পানি সরবরাহে আর আগ্রহী নয়।

তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা ওয়াসাকে নতুন করে দশটি জোনে ভাগ করা হয়নি। আগে থেকেই ঢাকা ওয়াসা দশটি ভাগে আছে। এটা হল জিওগ্রাফিক্যাল জোন। কোন কোন জোনে পানির দাম বাড়ানো নিয়ে আধিক্য থাকবে। ঢাকা ওয়াসার পানির বিক্রির বিনিময়ে একটা সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকে। সেই সার্ভিস চার্জে বর্তমানে ফ্লাট রেটে আছে।

জমির মৌজার রেটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজধানীতে মৌজা রেট আছে। রাজধানীতে ঘোষিত ও সরকার নির্ধারিত মৌজা অনুযায়ী জমি বিক্রি হয়। রাজধানীর ২০ মৌজা বা দাগ নম্বর আছে। এ মৌজাগুলোর একটা জমি বিক্রির রেট আছে। একেক জায়গায় একেক রেট। কোনো জায়গায় খুব কম আবার অন্য জায়গায় রেট অনেক বেশি। আমরা মৌজা রেটের মধ্যে যাচ্ছি। কথা হলো এলাকা ভিত্তিক পানির রেট নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ প্রজেক্টের কাজ আমরা দ্রুত করতে চাচ্ছি।

হোল্ডিং ট্যাক্সের কথা উল্লেখ করে ওয়াসার এমডি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরা যাক- বারিধারার একটি আলিশান বাড়িতে থাকছে একটি পরিবার। অন্যদিকে একই এলাকায় টিনশেড বাড়িতে থাকছে আরেকটি পরিবার। তাদের জমির মৌজা রেট কিন্তু এক। ওই এলাকার দুই পরিবারের মানুষের সামর্থ্য দুই রকম। তখন এখানে হোল্ডিং ট্যাক্সের ওপর নির্ধারণ হবে পানির বিল।

প্রত্যেকটি জোনকে কিভাবে ভাগ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একই জোনে পাঁচটি রেটে পানির বিল করা হবে। এখনও বলা যাচ্ছে না পাঁচটি জোনে কি রেট হবে। সরকার নির্ধারণ করে দিবে এই রেট। একটু কম বেশি হবে। রেট অনুযায়ী পানির মানের কোন তারতম্য হবে না। সর্বোচ্চ সামর্থ্যবানদের যে পানি দেওয়া হবে তুলনামূলক কম সমর্থ্যবানদের একই মানের পানি দেওয়া হবে।

জোনভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণ কবে থেকে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যত দ্রুত চালু করা যায় ততই ভালো ওয়াসার জন্য। আমাদের এসটেক হোল্ডারদের সাথে আরও আলোচনা বাকি রয়েছে। সরকার অনুমতি দিলেই জোনভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি