1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তানের জন্য জাতিসংঘের সাহায্য কামনা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১১৮ বার দেখা হয়েছে

পাকিস্তানের বন্যাদুর্গত শিশুদের জন্য প্রায় চার কোটি ডলার দেয়ার আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘের জরুরি শিশু তহবিল ইউনিসেফ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও খাবার ও ওষুধ দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

বন্যার্তদের মাঝে পানিবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে। মারা যাচ্ছেন মানুষ। পাকিস্তানের এখন জরুরি-ভিত্তিতে সাহায্য দরকার বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বুধবার নিউইয়র্কে বলেছেন, ‘আমাদের সাহায্য দরকার। শিশুদের জন্য খাবার ও ওষুধ দরকার।’

প্রবল বৃষ্টির পর বন্যার তাণ্ডবে পাকিস্তান বিপর্যস্ত। বন্যায় এখন পর্যন্ত দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ।

লাখ লাখ মানুষ এখনো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। শত শত কিলোমিটার এলাকা এখনো জলের তলায়। পানি পুরোপুরি নামতে ছয় মাস লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা

এই অবস্থায় কলেরা, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চর্মরোগ ছড়াচ্ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ইউনিসেফ বলেছে, ‘আমরা অত্যন্ত চিন্তিত। বিভিন্ন রোগ ছড়াচ্ছে। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। পাকিস্তানের সামনে দ্বিতীয় বিপর্যয় অপেক্ষা করে আছে।’

ইউনিসেফ জানিয়েছে, বন্যাদুর্গত শিশুদের সহায়তা করার জন্য তাদের তিন কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রয়োজন। এখনো পর্যন্ত প্রয়োজনের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ অর্থ হাতে পেয়েছে সংস্থাটি।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, ৩৪ লাখ শিশু ঘর হারিয়েছে। ৫৫০ জন শিশু মারা গেছে। যদি উপযুক্ত সাহায্য না পাওয়া যায়, তাহলে আরও অনেক শিশু মারা যাবে।

বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ সভায় একাধিক রাষ্ট্রনেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই পাকিস্তানে এই ভয়াবহ বন্যা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘পাকিস্তান পানির নিচে এবং আফ্রিকায় ভয়াবহ খরা চলছে।আমাদের সামনে আর বেশি সময় নেই। আমরা সবই জানি, আমরা একটা পরিবেশ-সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বুহারি বলেছেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সোমালিয়ায় খরা ও পাকিস্তানে ভয়ংকর বন্যা হয়েছে।’

মানবিক সংস্থাগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে অনেককে জরুরি সহায়তা দেওয়ার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে। কিন্তু অসংখ্য রাস্তা ও সেতু বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক এলাকায় প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি