1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

কোন রঙের ক্যাপসিকাম বেশি উপকারী?

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৮০৫ বার দেখা হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : দেখতে অনেকটা টমেটোর মতো, তবে টমেটো নয়। যেন বড়সড় এক মরিচ! নজরকাড়া রঙের এই সবজির নাম ক্যাপসিকাম। ক্যাপসিকাম লাল, সবুজসহ বেশ কয়েক রঙের হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সাধারণত লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম বেশি দেখা যায়। বিদেশি সবজি হলেও এর চাহিদা দিনদিন বেড়ে চলেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে এর চাষও।
ক্যাপসিকামের অনেক গুণ। এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই এই সবজি কখনোই অতিরিক্ত তাপমাত্রায় রান্না করা উচিত নয়। এতে এর ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। পুষ্টিগুণ পুরোপুরি পেতে চাইলে কাঁচা খেতে পারেন।
ক্যাপসিকামে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। ভিটামিন ই, এ-ও পাওয়া যায় ক্যাপসিকামে। চোখ ভালো রাখতেও এটি উপকারী। চুল ও ত্বকের জন্যও খুব ভালো এই সবজি। পাশাপাশি ভালো রাখে হাড় ও হার্ট।
ক্যাপসিকামে পটাসিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি উপাদানও প্রচুর পাওয়া যায়। তাই এটি খেলে শরীরের আয়রন গ্রহণ করার ক্ষমতাও বাড়ে। ক্যাপসিকাম দীর্ঘদিন ফ্রিজে রেখে না খাওয়াই ভালো। কিনে আনার দুই-তিন দিনের মধ্যে খেয়ে নিলেই উপকার বেশি। কোন ক্যাপসিকামে উপকার বেশি, সবুজ না-কি লাল? বিস্তারিত প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
লাল ক্যাপসিকাম : লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে লালটি বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও বেশি থাকে। লাল ক্যাপসিকাম খেলে ত্বক সুন্দর থাকে। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। চোখ ভালো থাকে। এতে কোলেস্টেরল কম থাকার কারণে মোটা হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী। ত্বকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগের ক্ষেত্রে ক্যাপসিকাম রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে ত্বকের ব্রণ ও র্যাশের হাত থেকে রক্ষা করে। লাল ক্যাপসিকাম যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক।
ক্যাপসিকাম খেলে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বজায় রাখতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এই সবজি। খনিজের অভাব পূরণ করে। পটাশিয়াম বেশি থাকার কারণে বয়স্কদের জন্য লাল ক্যাপসিকাম খাওয়াই ভালো। বিভিন্ন উপকরণ বেশি থাকার কারণে বাজারে লাল ক্যাপসিকামের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।
সবুজ ক্যাপসিকাম : সবুজ ক্যাপসিকামও বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণে ভরপুর। এই ক্যাপসিকাম অল্পবয়সীদের জন্য বেশি উপকারী। এতে ক্যাপসাইসিনস নামক উপাদান ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
সবুজ ক্যাপসিকাম মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে। এটি শরীরের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে। ফলে চর্বি জমে না, একই সঙ্গে ওজনও বৃদ্ধি পায় না। সবুজ ক্যাপসিকাম রক্তের অণুচক্রিকা উদ্দীপিত করে সংক্রমণ রোধ করে থাকে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সব রঙের ক্যাপসিকামই পাতে রাখুন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি