আইসিসির বাৎসরিক টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ৯ম স্থান থেকে উঠে এসেছে ৮ম স্থানে। রেটিং পয়েন্টও বেড়েছে ২টি। ২৩১ রেটিং পয়েন্ট থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৩ রেটিং পয়েন্ট। তবে, টেস্ট এবং ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে টাইগারদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। যথাক্রমে ৯ম এবং সপ্তম স্থানে। যদিও ওয়ানডেতে রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে ২টি।
তিন ফরম্যাটের প্রতিটি সিরিজ শেষ হলেই র্যাংকিং আপডেট করে আইসিসি। সেই আপডেট অনুসারে র্যাংকিং পরিবর্তন হয়। কেউ উপরে ওঠে, কেউ নিচে নামে। কিন্তু ওগুলো অনেকটাই অস্থায়ী। তবে আইসিসি বছর শেষে একটা আপডেট প্রকাশ করে। বলা যায়, এটাই বছরের স্থায়ী র্যাংকিং।
তাতে দেখা যাচ্ছে টেস্ট র্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে নিউজিল্যান্ড এবং ভারত রয়েছে টি-টোয়েন্টির র্যাংকিংয়ের শীর্ষে।
গত বছর ৪ মে থেকে চলতি বছর ৪ মে পর্যন্ত সময়কে হিসেবে আনা হয়েছে। এই এক ব্ছরে আন্তর্জাতিক পারফরম্যান্সকে বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাৎসরিক র্যাংকিং। তবে, বাৎসরিক র্যাংকিং হিসেব করতে গিয়ে আইসিসি আগের দুই বছরের হিসেবকেও সামনে নিয়ে আসে।
২০১৯ সালের মে মাস থেকে এবারের র্যাংকিংয়ের হিসেব ধরা হয়েছে। ২০২১ পর্যন্ত সব আন্তর্জাতিক সিরিজের পারফরম্যান্সকে ৫০ ভাগ মূল্যায়ন করা হয়। এরপর গত এক বছরের পারফরম্যান্সকে মূল্যায়ন করা হয় শতভাগ। এরপরই তৈরি হয় বাৎসরিক র্যাংকিং।
সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল প্যাট কামিন্সের দল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাওয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জয়’ই তাদেরকে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে আরোহন করতে সহযোগিতা করেছে। একই সঙ্গে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও শীর্ষে রয়েছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার রেটিং পয়েন্ট ১২৮। ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত। ১১১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড, ১১০ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ স্থানে এবং ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ৯ পয়েন্ট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ৯৭ থেকে ৮৮ পয়েন্টে নেমে এসে তারা রয়েছে ৬ষ্ঠ স্থানে। ১৯৯৫ সালের পর এটাই ইংলিশদের সর্বনিম্ন রেটিং পয়েন্ট।
বাংলাদেশ আগের মতই রয়েছে ৯ নম্বরে। রেটিং পয়েন্ট ৫১। আগেও ছিল ৫১। কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশের আগে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ৭ম এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ম স্থানে। জিম্বাবুয়ে ১০ম স্থানে। আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড পর্যাপ্ত টেস্ট না খেলায় এখনও এই হিসেবের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেনি।
ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডই শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে। ১২৫ রেটিং পয়েন্ট তাদের। তবে, শীর্ষস্থান দখলে তাদের তীব্র লড়াই হয়েছে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। মাত্র ১ রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান দুই দলের। ইংল্যান্ডের রেটিং পয়েন্ট ১২৪। ১৭ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে তিন নম্বরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের ১০৫, রয়েছে চতুর্থ স্থানে এবং পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট ১০২।
বাংলাদেশ রয়েছে আগের মতোই ৭ নম্বরে। রেটিং পয়েন্ট ৯৫। আগেও ছিল ৯৩। অর্থ্যাৎ ২ রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে বাংলাদেশের। ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কা ৮ম, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ম এবং আফগানিস্তান রয়েছে ১০ম স্থানে।
তবে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগে বাংলাদেশ রয়েছে শীর্ষে। এখনও পর্যন্ত ১৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। পয়েন্ট অর্জন করেছে ১২০টি। ১৫ ম্যাচে ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। ভারত রয়েছে ১২ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে।
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে মোট ২০টি দলকে বিবেচনায় আনা হয়েছে। বাকিরা হচ্ছে যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, জিম্বাবুয়ে, ওমান, নামিবিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল এবং পাপুয়া নিউগিনি।
ঘরেরর মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পুরস্কার হিসেবেই নতুন অধিনায়ক রোহিত শর্মার দল বছরান্তে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে থাকার সুযোগ পেলো। ২৭০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তারা শীর্ষে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে ভারত। তিন নম্বরে থাকা পাকিস্তানের পয়েন্ট ২৬১, চার নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ২৫৩ এবং ৫ম স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ২৫১।
টি-টোয়েন্টিতে ৬ রেটিং পয়েন্ট কমেছে আফগানদের। তাদেরকে ২ ধাপ পেছনে ঠেলে দিয়েছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। ৮ম স্থান থেকে তারা চলে গেছে ১০ নম্বরে। ৯ নম্বরে চলে এসেছে শ্রীলঙ্কা।
টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ড ৬ষ্ঠ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ রয়েছে ৭ম স্থানে। নিউজিল্যান্ডের ৫ রেটিং পয়েন্ট কমেছে এবং ৫টি বেড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।