তৈরি পোশাক ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো পণ্য ব্রিটেনে উল্লেখযোগ্য হারে রপ্তানি হয় না। যেসব পণ্য দেশটিতে যায়, তার মূল ক্রেতা মূলত বাংলাদেশি প্রবাসীরাই। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এজন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (বিবিসিসিআই) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে সংগঠনটি।
শনিবার (২০ নভেম্বর) বিবিসিসিআই সভাপতি বশির আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ বিষয়ে কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
সাক্ষাতকালে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্রিটেনের অর্থনীতির মূল ধারায় অবদান রাখছে এবং নিজেদের অবস্থানকে দৃঢ় করেছে। তাদের মাধ্যমেই দেশটির বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বিস্তৃত করতে হবে। এ লক্ষ্যে ঢাকা সফররত বিবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা, হ্যান্ডিক্রাফটসের ব্যবসায়ীদের নিয়ে শিগিগর বৈঠকের আয়োজন করা হবে। ব্রিট্রেনের বাজারে রপ্তানি সমস্যা চিহ্নিত ও দূর করতে এ বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিমানবন্দর ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে বিবিসিসিআই সভাপতি বশির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা ব্রিটেনে বিপণন কৌশলে পিছিয়ে আছেন। বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য জানা থাকলে, ব্রিটেনের ক্রেতাদের মধ্য এ দেশের পণ্য কেনার আগ্রহ আরও বাড়তো। এর প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে দু-দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে খাত ভিত্তিক ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরির ব্যাপারে একমত হয়েছেন দুই বাণিজ্য সংগঠনের সভাপতি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ড. ফেরদৌসী বেগম।