1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন

সচেতনার অভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আত্রাইয়ের কৃষকেরা

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪
  • ৮৫ বার দেখা হয়েছে
দেশের খাদ্য উৎপাদনে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক ভাবে চাহিদা পূরণে করে আসছে উত্তর অঞ্চলের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার কৃষকেরা। সেই খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে সঠিক পরামর্শের অভাবে নিরাপদ পদ্ধতিতে সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন কৃষকেরা। সর্তকতার সাথে সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলছেন চিকিৎসক। কৃষকদের সার ও কীটনাশক ব্যবহারে সঠিক পরামর্শ দিচ্ছেন বল্লেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলার মাঠে কৃষকরা ধান,ভূট্টা,গম সবজি সহ বার মাস বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ আবাদ করে থাকে। তবে এখন চলছে বোরো মৌসুম তাই মাঠের পর মাঠ সবুজে ছেয়ে গেছে। সাথে সাথে কৃষকের ও বেড়েছে ব্যস্ততা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এবং ফসলে রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করতে হচ্ছে সার ও বিভিন্ন কীটনাশক। ফসলে কি পরিমাণ সার ও কীটনাশক ব্যবহার এবং কি পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে অনেকটাই অসচেতন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ২৮ হাজার ৪১৮ হেক্টর, আবাদি জমির পরিমাণ ২৪ হাজার ৫০ হেক্টর এবং এবছর বোরো আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার মনিয়ারি ইউনিয়নের লালপাড়া গ্রামের কৃষক জুলহক প্রাং বলেন আমি এবছর ৩০ বিঘা ধান আবাদ করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমার কোন দিন খোঁজখবরও কেউ নেয়নি। তাই আমি নিজেই পরিচর্যা করে থাকি। জমিতে সার বা কীটনাশক প্রয়োগের সময় নিজে থেকে যতটুকু পারি মুখে মাস্ক পরে জমিতে কীটনাশক দিয়ে থাকি। তবে অনেক সময় আমার মাথা ঘুরায়,বমি বমি ভাব হয়।
পাঁচুপুর ইউনিয়নের গুড়নই গ্রামের মান্নান সরদার বলেন,আমি টমেটো,মিষ্টিকুমড়া,শসা আবাদ করেছি প্রতি সপ্তাহে বিষ দিতে হয়,তবে কোন সবজি ক্ষেতে কি পারমাণ বিষ দিতে হয় কিভাবে দিতে হয় আগে এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কেউ কখনো আমাকে বলেনি। এখন অফিস থেকে মাঝে মাঝে একজন লোক আসে কিছু সবজির বীজও দিয়েছে। আর বলেছে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিবে। একই ইউনিয়নের ধুলাউরি গ্রামের কৃষক আফজাল শেখ ও দুলাল সরদার বলেন আমাদের এইদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনদিন কোন লোক আসেনা আমরা কোন সেবাও পাইনা। ফসলে বিষ দেওয়ার বিষয়ে আর কি বলবো।
হাটকালুপাড়া ইউনিয়নে চরকতলা গ্রামের কৃষক অতুল সরকার বলেন মাঝে মাঝে একজন লোক আসে কিন্তু সে জমিতে বিষ দিতে কি পোষাক পরিধাণ করতে হয় পোষাক না পরলে কি কি সমস্যা হতে পারে এ বিষয়ে কেউ কখনো আমাকে জানাইনি। আমারও কিছু জানা নেই।
সচেতনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকসানা হ্যাপী বলেন কৃষকেরা যখন বিষ প্রয়োগ করবে তখন তাদের অবশ্যই মুখে হাতে শরীরে পায়ে সেফটি নিতে হবে। এবং বিষ প্রয়োগের পর তাকে ভালোভাবে পুরো শরীর ধৈত করতে হবে। না হলে মানুষের বিষক্রিয়া হয়ে মারা যেতে পর্যন্ত পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলেন কৃষকদের বিষ দেওয়ার বিষয়ে কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। আমাদের উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সকল সময় কৃষকদের জমিতে কীটনাশক ব্যবহার সঠিক পরামর্শ দিয়ে আসছে। এবং জমিতে কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের উঠান বৈঠকের মাধ্যেমেও সচেতন করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি