মোঃ জিল্লুর রহমান আজাদ:
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে এই প্রথম।২০২৩ সালের শেষে সামগ্রিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে। এক বছর আগে যাহা ছিলো ৯৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। সবমিলিয়ে বছরের ব্যবধানে বিদেশির ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪ দশমিক ১২বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, মোট ঋণের ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে সরকারি খাতে। আর বাকিটা নিয়েছে বেসরকারি খাত। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ ঋণ দীর্ঘমেয়াদী । এছাড়া বাকিগুলো স্বল্পমেয়াদী। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারে।২০২২-২৩ অর্থাবছর শেষে তা দাঁড়ায় ৯৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে। এর মানে গত ৮ বছরে দেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। গত ডিসেম্বরের শেষে সেটি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির সবশেষ উপাত্ত অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসেবে গত ডিসেম্বরের পরে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ ডলার। যাহা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭১ হাজার টাকা। তবে গত জুনের হিসেবে তা ছিল ৫৭৪ ডলার । ৮ বছর আগে ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি। বিশ্বব্যাংক ওশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের(এডিবি)এর মতো সংস্থা এবং জাপান, চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের(ইআরডি) হিসাবায়নে,২০২২-২৩ অর্থবছরে শীর্ষ ঋণদাতা দেশ ছিল জাপান ও চীন। আর সংস্থার মধ্যে ঋণদানে শীর্ষে ছিল বিশ্বব্যাংক ও এডিবি।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি বিদ্যমান। এই অবস্থায় বিদেশী ঋণের বৃদ্ধি ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ জানাবে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক , আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদেশি ঋণ বাড়ছে। এটা দেশের জন্য উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে চীন ও রাশিয়া থেকে সাপ্লায়ার ক্রেডিট নেওয়া বন্ধ করতে হবে।