1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন

সবুজ মাঠে বেগুনি ধান, এলাকায় বিস্ময়ের সৃষ্টি

আরএম সেলিম শাহী
  • আপডেট : বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫৬৯ বার দেখা হয়েছে
শেরপুরঃ ধানগাছের পাতা কি রঙের? যে কেউ সহজেই উত্তর দেবে, সবুজ রঙের। কিন্তু সবুজ (ধানগাছ) ফসলের মাঠে চতুর্ভুজ ও মাঝখানে বৃত্ত আকৃতির বেগুনি রঙের ধানগাছের দেখা মিলেছে। অনেকটা জাতীয় পতাকা আকৃতির মতো দেখতে! শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল এলাকায় নূরে আলম সিদ্দিকী প্রথম বার ভিন্ন রঙের এই ধান তার দুই খণ্ড জমিতে চাষ করে স্থানীয় পর্যায়ে কৌতূহলের জন্ম ও বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন। নূরে আলম ধানশাইল উচ্চ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রথম বেগুনি রঙের ধানের আবাদ শুরু হয় গাইবান্ধায়। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ধান। এ ধানের নাম ‘পার্পল লিফ রাইস’। এই ধানগাছের পাতা ও কাণ্ডের রং বেগুনি। এর চালের রংও বেগুনি। তাই কৃষকদের কাছে এখন পর্যন্ত এ ধানের পরিচিতি বেগুনি রঙের ধান বা রঙিন ধান। বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে সবুজ ধানখেতের চতুর্ভুজ ও মাঝখানে বৃত্ত আকৃতির বেগুনি রঙের ধানের আবাদ। চারদিকে বিস্তৃত সবুজ ধানখেতের মধ্যে বেগুনি রঙের এই ধানগাছ দেখে কেউ কেউ থমকে দাঁড়িয়ে জানার চেষ্টা করছেন, এটি কি ধান বা ধানের এমন অবস্থা কি করে হলো? অনেকেই তুলছেন সেলফি।
নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ইউটিউবে বেগুনি রঙের ‘পার্পল লিফ রাইস’ নামের এ ধান চাষ দেখেন। পরে তার মাঝেও এ ধান চাষের আগ্রহ জাগে। এ ধানের বীজ সংগ্রহের অনেক চেষ্টার পর, শালচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নানের মাধ্যমে স্থানীয় আদিবাসী এক কৃষকের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করেছেন। এখন পরীক্ষামূলকভাবে দুই খণ্ড ১০ শতক জমিতে ধান রোপণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, এছাড়া প্রায় এক একর জমিতে ‘বাংলা মতি’ ও ‘কাটারিবুগ’ নামের দুই জাতের ধানের চারা ধান রোপণ করেছেন। এসব ধানের ফলন কী রকম হবে, তা দেখার পর ভবিষ্যতে আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন এই ধান দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছে। অনেক কৃষক এই ধান চাষ করতে বীজ চেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দাঁড়িয়ারপাড় এলাকার কৃষক তারেক হোসাইন বলেন, আমি প্রথমে দেখে ভেবেছিলাম, ধানখেত নষ্ট হয়েছে। পরে জিজ্ঞেস করার পর জানতে পারলাম, এটি বেগুনি রঙের ধান। স্যার (নূরে আলম) এমনভাবে রোপণ করেছেন, দেখতে যেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। আগামীতে আমিও চাষ করব ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, এর আগে কখনো এ উপজেলায় এ ধানের চাষ দেখিনি। বেগুনিরঙা ধান চাষ হওয়ার খবর শুনেছেন তারা। এই ধানের পুষ্টিমান বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ চালের ভাত খেতেও সুস্বাদু। এই ধান ডায়েবেটিস রোগীদের বেশ উপকারী। ফলন ভালো হলে উৎপাদিত ধানগুলো বীজ আকারে রাখা হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে ধানের আবাদ বৃদ্ধির চিন্তা করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি