1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন

‘বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে ভিন্ন ধর্মীয় আদর্শের হয়েও একসঙ্গে থাকা যায়’

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৩৭ বার দেখা হয়েছে

ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় আদর্শ মেনেও মানুষ একত্রে থাকতে পারে, সেটি বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে শুধু দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রে পরিবর্তন আসেনি, একই সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে আদর্শের। যে কারণে (ধর্মের ভিত্তিতে) দেশভাগ হয়েছিল সেই আদর্শ কিন্তু টেকেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে, মানুষ ভিন্ন ধর্মীয় আদর্শের হয়েও একত্রে থাকতে পারে।’

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন হাইকমিশনার।

দোরাইস্বামী বলেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে যারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে তাদের প্রতি যে সম্মান জানানো হয়েছে তা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ছুঁয়ে গেছে। এখানে বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করে জানাতে চাই। কেন ভারত ৭১-এ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিল? এটা নিয়ে অনেকে বলে থাকেন ভারত সবসময়ে পাকিস্তানকে দুই ভাগ করতে চেয়েছে। এটি সত্যি নয়। বাস্তবতা হচ্ছে, ৭১-এর মার্চে যে গণহত্যা হয়েছে তা অনেকেরই ধারণারও বাইরে ছিল। লাখ লাখ নিরস্ত্র মানুষ আমাদের সীমান্ত পার হচ্ছিল। বাংলাদেশে মানুষের কী হচ্ছিল তা এ থেকে বোঝা যায়। এ ঘটনায় ভারত ভান করতে পারে না যে দূরে কোথাও কিছু হচ্ছে।’

‘দ্বিতীয়ত, এটি যে যুদ্ধ তা পরিষ্কার ছিল। বিষয়টি এ রকম ছিল না যে, কিছু মানুষ সরকারের বিরোধিতা করছে। পুরো জাতি বঙ্গবন্ধুর ডাকে জেগে উঠেছিল। ভারত বুঝেছিল যে, এটি নিয়মিত কোনো রাজনৈতিক সংঘাতের বিষয় নয়, যা বিশ্বের অনেক স্থানে হয়ে থাকে। এটি নিয়মিত রাজনৈতিক সংঘাতের চেয়ে বহুগুণে ভয়াবহ এবং অনেক বেশি স্থানে ছড়িয়ে ছিল। ভারত কখন সহযোগিতা করেছিল তা খুঁজতে গেলে দেখা যায়, অপারেশন সার্চ লাইটের পর। বিষয়টি শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করাই নয়, সঙ্গে ১ কোটি মানুষকে নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় খুব কঠিন কাজ ছিল। তখনকার পরিস্থিতিতে ভারতের নিজেদের অবস্থাও খুব ভালো ছিল তাও কিন্তু না।’ যোগ করেন হাইকমিশনার।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশীল।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি