1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন

যান্ত্রিকতায় হারিয়ে যাচ্ছে গরুর গাড়ি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩
  • ২৪০ বার দেখা হয়েছে

ওকি গাড়িয়াল ভাই, কত রব আমি পন্থের দিকে চাইয়া রে…এসব ভাওয়াইয়া গানের সৃষ্টি হয়েছে গরুর গাড়িকে ঘিরে। গরুর গাড়ি আর গাড়িয়ালকে নিয়ে প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী আব্বাস উদ্দিনের ভাওয়াইয়া দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও স্থান করে নিয়েছিল।

এক সময় গরুর গাড়ি ছাড়া বিকল্প বাহনের কথা ভাবাই যেত না। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই গরুর গাড়িও নেই। নেই গাড়িয়ালের কণ্ঠে ভাওয়াইয়া গানও। যান্ত্রিকতার কাছে হারিয়ে গেছে পরিবেশবান্ধব এসব গরুর গাড়ি। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে যানবাহন।

এক সময় মানিকগঞ্জের সর্বত্রই গরুর গাড়ির কদর ছিল। জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল গরুর গাড়ি। বর্তমানে ঘোড়ার গাড়িও বিলীনের পথে। তবে মৌসুমী ফসলের সময় কিছু কিছু ঘোড়ার গাড়ি দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘিওর এলাকার ৮৭ বছরের এক ব্যক্তি বলেন, আমি এক সময় মানিকগঞ্জে গরুর গাড়ি চালাতাম। খাদ্য গুদামে মাল আনা-নেওয়া করেছি। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মালামাল আনা-নেওয়া করতাম। প্রচুর চাহিদা ছিল গরুর গাড়ির। গরুর গাড়ি করে আমি নতুন বউ আনা-নেওয়া করেছি। গরুর গাড়ির জন্য লোকজন অপেক্ষায় থাকতো।

তিনি আরও বলেন, দিনে দিনে গরুর গাড়ির চাহিদাও কমলো। তার পর অনেকদিন ঘোড়া চালিয়েছি। গোড়ার গাড়ি ছিল আমার। তবে ঘোড়ার পিঠে ধান, কালাই হাট-বাজারে আনা-নেওয়া করতাম। তখন এক শ্রেণি শুধু ঘোড়ায় মালামাল টানতো, আরেক শ্রেণি ঘোড়ার গাড়ি চালাতো। গাড়িতে মানুষ চলাচল করতো।

তিনি দুঃখ করে বলেন, গরুর গাড়ি চালাতাম বলে লোকজন আমাদের ছোট চোখে দেখতো। এখন আমি ছেলে সন্তান নিয়ে সাভার নিজের বাড়িতে থাকি। মাঝে মধ্যে এলাকায় আসি। বর্তমানে জেলার কোথাও গরুর গাড়ি আছে কিনা, আমার জানা নেই। তবে ফসল উঠলে চরে কিছু ঘোড়া দেখা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি