প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কাউকে না রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সেমিনার কক্ষে দুই দফায় বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সার্চ কমিটির বৈঠক হয়। প্রথম দফার বৈঠক শেষে বিশিষ্টজনরা এ কথা জানান।
সভায় উপস্থিত ১৪ জন হলেন—আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, সুনসুরুল হক চৌধুরী, এম কে রহমান, ড. শাহদীন মালিক, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ, ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান।
আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, একজন আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি বলেছি অনুসন্ধান কমিটি যাদের মনোনয়ন করবেন তারা যেন স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে। বৈঠকে যারা ছিলেন তারা সবাই আমার এই বক্তব্যকে সমর্থন করে অনুসন্ধান কমিটিকে অনুরোধ করেছেন। যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে তারা যেন, সৎ, নিষ্ঠাবান এবং যোগ্য হন। আর্থিক মোহ অথবা যে কোনো মোহের বাইরে থেকে যেন নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করতে পারেন।
অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, এই অনুসন্ধান কমিটি যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে তাদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হতে হবে, তিনি যেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ হন। আমলা বা যে কোনো পেশা থেকে তিনি বা তাদের নাম আসতে পারে। যে পেশা থেকেই আসেন না কেন, তাদের স্বচ্ছ ব্যক্তি চরিত্র ও সততা থাকতে হবে।
আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যে নাম দিয়েছে সেগুলো প্রকাশ করার কথা বলেছি। বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো যদি তাদের লোকদের নাম প্রস্তাব করে থাকে, জাতীয় পার্টি যদি দলের প্রতি সহানুভূতিশীল কারও নাম দিয়ে থাকে, তাহলে বোঝা যাবে রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন চায় না। এ কারণেই নাম প্রকাশ করলে আমরা বুঝতে পারব রাজনৈতিক দলগুলো উদ্দেশ্য কী।