1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন

ড. ইউনূসসহ মানবাধিকারকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে: জাতিসংঘের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১২৯ বার দেখা হয়েছে

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের দুই নেতাসহ বাংলাদেশে মানবাধিকারকর্মীদের আইনি প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির বিষয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

মঙ্গলবার জেনেভা থেকে ওএইচসিএইচআরের হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এ বিবৃতি দেন। এতে তিনি বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ ও সুরক্ষায় মানবাধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাজের প্রয়োজনীয় নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, মানবাধিকারকর্মী এবং ভিন্নমত পোষণকারীদের আইনি প্রক্রিয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে যা উদ্বেগজনক লক্ষণ। এতে আরও বলা হয়, ‘এই মামলাগুলো বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।’

জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি ও মার্তা হুরতাদো এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।

হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস প্রায় এক দশক ধরে হয়রানি ও ভয়ভীতির মুখোমুখি। তিনি বর্তমানে দুটি বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন যেগুলোতে তার কারাদণ্ড হতে পারে, একটি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং দ্বিতীয়টি দুর্নীতির অভিযোগ।’

তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সুপরিচিত।’ তিনি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ভলকার তুর্ক।

তিনি বলেন, ‘অধিকারের নেতা আদিলুর রহমান খান ও নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে মামলা জাতিসংঘ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, যেগুলোর রায় ৭ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সঙ্গে ১০ বছর আগের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সম্পর্ক রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর প্রচারণা অনেক সময়ই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আসছে এবং এতে তার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি আছে।’

যথাযথ প্রক্রিয়া এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে এই মামলাগুলোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যালোচনা নিশ্চিতের আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

ওএইচসিএইচআরের হাইকমিশনার বলেন, ‘বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনটি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এই আইনে জরিমানাসহ কারাদণ্ডের বিধান রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে জামিনের সুযোগ থাকবে। তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করতে আইনের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের সমাধান করা জাতীয় সংসদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি