1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন

ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি চুন্নুর

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
  • ৪১ বার দেখা হয়েছে

সংসদ সদস্যদের ভাতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু আলোচিত আইনজীবী ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে নালিশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রতি এ দাবি জানান তিনি।

ব্যারিস্টার সুমনকে ইঙ্গিত করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমাদের হাউজের একজন সংসদ সদস্য, নামটা বলতে চাই না। তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফেসবুকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমরা সবাই ভুক্তভোগী।’

সংসদ সদস্যদের ভাতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুমনের স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে জাপার এ নেতা বলেন, ‘তিনি বলেছেন, আপনারা জানেন এমপিরা কত টাকা বেতন পান? তারা তো বলে না, গোপন করে। তিনি বলেছেন ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন (মাসিক) পেয়েছেন। আমরা কত টাকা বেতন পাই তা লুকানোর কিছু নেই, ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেছেন, তিন মাসের মধ্যে ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেটা কীভাবে পেলেন—গমের জন্য তিন কোটি টাকা। আর বাকি ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন রাস্তার জন্য।’

স্পিকারকে উদ্দেশ করে চুন্নু বলেন, ‘এই ২৮ কোটি টাকা কি আমি পেয়েছি, আপনি (স্পিকার) পেয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন? ইতোমধ্যে ফেসবুক দেখে আমাকে অনেকেই বলছেন ২৮ কোটি টাকা পেয়েছেন, এই টাকা কই? তিনি বলেছেন ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন, কিন্তু আমরা তো পাইনি।’

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘আগামী ৫ বছরের জন্য কয়টা প্রকল্প করবো তার নাম দিয়েছি আমরা। টাকার সঙ্গে তো আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা নাম দেই, স্থানীয় সরকার বিভাগ জরিপ করে, টেন্ডার করে, তারপর বাস্তবায়ন করে। কিন্তু ওই সংসদ সদস্য বলছেন আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। শুধু তাই না, তিনি আরও বলেছেন এমপি হলে যদি এত লাভ হয়, তাহলে আরও আগে এমপি হতাম।’

স্পিকারের উদ্দেশে মুজিবুল হক চুন্নু এরপর বলেন, ‘আপনি হলেন এই সংসদের অভিভাবক। আমাদের কোনও সদস্য যদি এমন কোনো কথা বলেন, যে কথায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ বাকি ৩৪৯ জন এমপি সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে, বিষয়টি আপনি দেখবেন। ওই সংসদ সদস্যের সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য এমন কথা বলার অধিকার নেই যাতে ৩৪৯ এমপির ইজ্জত যাবে। তাই অভিভাবক হিসেবে ওই সংসদ সদস্যকে ডেকে একটা ব্যবস্থা নেবেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি