1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এম.জি. কিবরিয়া চৌধুরীর ভাই প্রকৌশলী গোলাম সরওয়ার মারা গেছেন বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়: প্রধানমন্ত্রী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানতে পারে চলতি মাসেই  আরসার আস্তানায় র‍্যাবের অভিযান, অস্ত্র-গ্রেনেডসহ গ্রেপ্তার ২ ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ আগুন স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক ৫ ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস নিষিদ্ধ চেয়ে মামলা, মালিকদের তলব নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে সাবেক বাপেক্স এমডির সাক্ষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে পারবেন না ডোনাল্ড লু কুতুবদিয়ায় নোঙর করলো এমভি আবদুল্লাহ

রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ , হাঁসফাঁস করছে রাজশাহীবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩০৭ বার দেখা হয়েছে

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

এর আগের দিন রাজশাহীর তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এর মধ্যে দিয়ে রাজশাহীতে চলমান মাঝারি তাপপ্রবাহ তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিলো।   ফলে আগুন ঝরা আবহাওয়ায় হাঁসফাঁস করছে রাজশাহীর মানুষ। স্বস্তিতে নেই পশু-পাখিরাও। তীব্র গরম থেকে মুক্তির কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না ! কাঠফাঁটা গরমে সবার যেন নাভিশ্বাস উঠেছে। এতে অস্থির হয়ে পড়ছে জনজীবন, বিশেষ করে শহুরে মানুষরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। বৃষ্টিবিহীন আবহাওয়ায় ঘরের চেয়ে বাহিরের অবস্থা আরও বেশি ভয়াবহ। প্রতিদিনই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা।

একটু বৃষ্টির জন্য চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে। তাপমাত্রার দাপটে করোনার মধ্যে বাড়তি চাপ হিসেবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়াসহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষজনের ভর্তি হওয়া সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ‘ত্রাতা’ হয়ে কখন বৃষ্টি ঝরবে সেই অপেক্ষার প্রহর গুণছে তীব্র গরমে নাস্তানাবুদ হওয়া পদ্মাপাড়ের মানুষগুলো।

বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় মানুষ মাত্রাতিরিক্ত ঘামছেন। তাই বাইরে বের হলেই রোজাদার কাহিল হয়ে পড়ছেন। গরমের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছের ছায়ায় অনেকেই বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। আর পথচারীরা ইফতারের আগে ভিড় করছেন ফুটপাতের শরবত এবং ডাব বিক্রেতাদের কাছে।

সাধারণত দিনের তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর থাকলে তাকে মাঝারি তাপদাহ হিসেবে ধরা হয়। আর ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু তাপদাহ।

আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপদাহ হিসেবে ধরা হয়। এর ওপরে উঠলে অতি উচ্চ তাপপ্রবাহ বলা হয় বলে জানিয়েছে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া কর্মর্কতা রহিদুল ইসলাম  জানান, এর আগে রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল গত ১৪ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।

এদিকে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য মতে, এর আগে ২০০০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর তাপমাত্রা বাড়লেও এখন পর্যন্ত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আর ৪২ ডিগ্রি অতিক্রম করেনি।

১৯৪৯ সাল থেকে দেশে তাপমাত্রার রেকর্ড শুরু হয়। এর মধ্যে ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে সিলেট বিভাগের দুই থেকে এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর পটুয়াখালী অঞ্চলসহ রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি