1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে বার বার বালু-মাটি পরিবহনে সড়কের সর্বনাশ, অভিযোগ এলাকাবাসীর

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১
  • ৩৮০ বার দেখা হয়েছে

লক্ষ্মীপুরে বালু – মাটি পরিবহনে সড়কের সর্বনাশ,এমন অভিযোগ উঠেছে ব্রিকফিল্ডের মালিকদের বিরুদ্ধে,  ৪নংচররুহিতা ইউনিয়নে রোডের দুই পাশ্বে হয়েছে অগণিত ব্রিকফিল্ড। লক্ষ্মীপুর থেকে হাজীমারা মোল্লারহাট সড়ক মেইন রোড জনতা বাজারের পরে দক্ষিণে নতুন ভেড়ি, ভেড়ির পশ্চিম পাশ্বে মন্তাজ কোম্পানির ব্রিকফিল্ড সহ আরো অনেকের ব্রিক ফিল্ড রয়েছে। বালু পরিবহনের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার সদরে উপজেলাদিন চররুহিতা ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডে ঐ এলাকার স্থানীয় মানুষের বসবাস। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার পর তা পরিবহনের করে পাকা সড়ক ও কাঁচা রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসা হয়। উপরন্তু ভালু ও মাটি বোঝাই ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়ক ও রাস্তাগুলো ভেঙে গিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

সড়কগুলোর দুরবস্থার কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকার হাজারো মানুষ। জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন এলাকাবাসী অবৈধভাবে সড়ক ও রাস্তা কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্রিক পিল্ড ইট বাটার রয়েছে অনুমতি ছাড়া অগণিত ।ট্রাক্টার ট্টলী পিকাপ ট্রালী দিয়ে নেওয়া হচ্ছে মাটি। এদিকে সরেজমিনে দেখা যায় , নতুন ভেড়ির মাথা সড়ক রোডের থেকে মজুচৌধুরী হাটের দিকে যাওয়া সড়ক রোডে শুরু করে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে ।লক্ষ্মীপুর জেলার সদরে উপজেলার বশিকপুর ১নং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে মাটি তোলার পর বালু ট্রাক্টার ও ট্রলি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

সড়কে ট্রাক্টার ও ট্রলি ওঠানামার জন্য পাকা সড়ক ও কাঁচা রাস্তা কাটা হয়েছে বহু জায়গা দিয়ে।এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় , বালু তোলার জন্য ৪নং চররুহিতা ইউনিয়নে ও ২০নং চরমোহনী ইউনিয়নে রাস্তা কাটা হয়েছে।এঘটনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়  আরো ভয়াবহ অবস্থা দেখা যাচ্ছে লক্ষ্মীপুর থেকে হাজীমারা মোল্লার হাট সড়ক রোডের মাঝামাঝি মধ্যে খানে বেড়ীর মাথা নামে সুপরিচিত ঐ এলাকার মানুষসহ পথচারীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি এখানে বেশ কিছু ইটবাটার মালিকদের উৎপাতের কারণে বেড়ীর দূরঅবস্থা।বিভিন্ন  মালিকদের রয়েছে অনেক বেশি ট্রাক্টার ট্রলী, কমপক্ষে এক এক জনে ট্রাক্টার ট্রলী ৮ থেকে ১০ টা করে মালিক, পরিবেশ ও সমাজ দুষিত হচ্ছে, জনসাধারণ মানুষ চলাচল করাটা খুবই কষ্ট কর হয়ে উঠেছে।

তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান এলাকার বসবাস করা মানুষেরা।স্থানীয়রা জানান ফসলি জমির বালু মাটি পরিবহন করার জন্য কাঁচা রাস্তা কাটা হয়েছে ব্রিকফিল্ডের মালিকদের সুবির্ধাথে।চররুহিতা ও চরমোহনী ইউনিয়নের স্থানীয়রা জানান, বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টার-ট্রলি উঠানো-নামানোর জন্য সড়কের পাশের আট থেকে দশ হাত কেটে ঢাল তৈরি করেন তারা। সেই জায়গা দিয়ে বালু ও মাটি বোঝাই করে যানবাহন উঠানামা করা হয়।  সড়ক বা রাস্তা কাটার স্থানটি ধীরে ধীরে ধসে যেতে থাকে।

এলাকায় গিয়ে বালু উত্তোলনকারী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , প্রতিদিন প্রতিটি স্থান থেকে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ ট্রলী করে বালু পরিবহন করা হচ্ছে ।এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি অপরিকল্পিত ভাবে তোলা বালু পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাশ্বে ফসলী জমি থেকে কাটা হয় মাটি। পরে পাকা সড়ক দিয়ে বিভিন্ন ব্রিকফিল্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।মাটি কাটা নিয়ে এলাকার স্থানীয়রা বাঁধা প্রদান করে ও বন্ধ করতে পারেনি মাটি কাটা। এতে বিভিন্ন স্থান ধসে যাওয়ায় সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ভেড়ির দুই  পাশের স্থানীয় বাসিন্দারা বালু উত্তোলন বন্ধে করতে  প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কে অভিযোগ দিয়ে অল্প সময়ের জন্য কিছু সংখ্যক ট্রাক্টার ট্রলী বন্ধ  হয়। কিন্তু বন্ধ হয়নি পুরাপুরি ভেড়ির  চররুহিতা শাকচর সহ কয়েকটি গ্রামে শতাধিক লোক বালু উত্তোলন করে ।এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।একটি সড়কের জন্য প্রত্যন্ত এলাকার জনগণকে অপেক্ষা করতে হয় দিন, মাস, বছরের পর বছর।সরকারের খরচ হয় কোটি কোটি টাকা।সড়ক কাটা অপরাধ তা ছাড়া গ্রামের সড়ক গুলো প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়।এসব কারণে দ্রুত গ্রামের সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রতি দাবি জানান, এলাকার স্থানীয়রা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি