1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনার যে দক্ষতা, বিএনপির কোনো নেতার নেই : শেখ পরশ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৬৬ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, শেখ হাসিনার যেই রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা রয়েছে সেটা নিশ্চয়ই বিএনপির কোনো নেতার নেই। বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব ও সংকটের গভীরতার সঙ্গে বিএনপি কোন নেতারা ওয়াকিবহাল না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তিত করবে এবং এসব কাজে সুফল একমাত্র শেখ হাসিনার সাহসী দক্ষ নেতৃত্বই সম্পন্ন করতে পারবে। অতএব, বিএনপি নেতাদের বলব, ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সা পরিহার করেন এবং যোগ্যতা বাড়ান। প্রতিযোগিতায় আসেন। ভোটে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। যোগ্যতার মাপকাঠিতে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর দক্ষতা অর্জন করুন। নিশ্চয়ই অনুকম্পা করে, বা সমঝোতা করে আপনাদের গদিতে বসানো হবে না। বিদেশিদের কাছে নালিশের রাজনীতি করে কোনো লাভ হবে না, বরং নিজেদের যোগ্যতা বাড়ান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগের উদ্যোগে আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায়, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সভাপতিম-লীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সঞ্চালনা করেন আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, একাধিক দুর্লভ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী আমাদের নেত্রী তাঁর অন্যতম হল, পিতার প্রতি বিরল ভালবাসার উদাহরণ স্থাপন করা। এই রকম একজন মানবিক এবং সংবেদনশীল ব্যক্তি, যে সারা জীবন দেখেছে তাঁর পিতাকে এদেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করতে, যে শিশু বয়সে নিজে পিতৃ¯েœহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেই মানুষটির ১৫ আগস্টের শোক বহন করতে হয় আজীবন ধরে। বঙ্গবন্ধু পরিবার রক্ত দিয়ে ১৫ আগস্টে যে মূল্য দিয়েছে তাতে আজীবন জাতি বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি ঋণী থাকবে। ১৫ আগস্টের অভিজ্ঞতা থেকে ফিরে এসে এদেশের মানুষের প্রতি আমাদের নেত্রীর যেই ভালবাসা দেখিয়েছেন, তা তাঁর উদারতা আর মহত্বের প্রমাণ বহন করে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না, সামাজিক ন্যায় বিচার পেতাম না, অর্থনৈতিক মুক্তি পেতাম না, ভোট ও ভাতের অধিকার পেতাম না, একটা মর্যাদাশীল দেশও পেতাম না এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হত না। আমরা এখন গর্ব করে বলি যে এ দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন টাকা বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাঙালি জাতি পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের নেত্রী, শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এখন কেবল কথার ফুলঝুরি না, বাস্তবতা। তাঁর দক্ষতার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। অসাম্প্রদায়িকতা, উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক বিজ্ঞানমনস্ক জীবনদৃষ্টি তাকে করে তুলেছে এক আধুনিক এবং অগ্রসর রাষ্ট্রনায়ক।

যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা এমন এক নেত্রীকে অনুসরণ করি যিনি আজীবন ধরে এ দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রজন্মকে তাঁর কাছ থেকে ত্যাগের দীক্ষা নিতে হবে। আমি আশঅর করি এদেশের যুবসমাজ জননেত্রীর দেখানো পথ অনুসরণ করে জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সর্বদা সোচ্চার থাকবে এবং প্রয়োজনে প্রতিবাদী থাকবে। একই সাথে সমসাময়িক ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা নিজেদের দক্ষ যুবশক্তি হিসাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে মনোনিবেশ করবো। একটা রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন হিসাবে একটা মর্যাদাশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন যুবলীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মীদের প্রাণের স্পন্দনে পরিণত হয়েছে। সেই স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে আজকের যুবলীগ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার সংগ্রামে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অবর্তীণ হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা কাদের ভয় দেখায়। ওদের কি কোন আক্কেল নাই। বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য যুবলীগই যথেষ্ঠ। যুবলীগকে দেখলে ভয়ে শয়তানও পালিয়ে যায়, আবার আপনাদের মত শয়তানরা এক দফার ভয় দেখান। তিনি বলেন, ’৭৫-এর খুনি ও ২১ আগস্টের খুনিরা সব এক। জিয়াউর রহমান ২১ বার সেনাবাহিনীতে ক্যু করেছেন। এই দলটি খুনির দল। বঙ্গবন্ধু ও জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতার হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র হলো বিএনপি-জামাতের মুল লক্ষ্য। তারা জানে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা ভোট ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। দেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারও হক্ষমতায় আসতে হবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। কিভাবে মানুষের অধিকার আদায় করতে হয় সেই দীক্ষা শেখ হাসিনা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিষ্ঠিত অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা ধ্বংস করতে চায়। ’৭৫-এর ঘাতকচক্র ও ২০০৪ সালের খুনিরা এক ও অভিন্ন। শেখ হাসিনা আমাদের প্রেরণার উৎস, আমাদের বাতিঘর। সেই ঘাতক চক্র আবারও, ষড়যন্ত্র করছে দেশের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, বাংলাদেশকে পাকিস্তানী করার ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে আমরা দেশ ছেড়ে দিতে পারি না। দেশকে যারা ধ্বংস করতে চায় তাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা, শেখ হাসিনার সৈনিকেরা বসতে পারে না। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদেরকে রাজপথে প্রতিহত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক, বাংলাদেশের মর্যাদাকে যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুপরিচিত করেছেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানায়। তিনি যুবলীগের উদ্দেশ্যে বলেন, সামনে যে নির্বাচন, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের উন্নয়নমূলক কাজ ও তথ্য বহুল চিত্র যদি তুলে ধরতে পারেন তাহলে মানুষের মনোজগতে বড় ধরণের পরিবর্তন নিয়ে আসা যাবে। স্লোগানের পাশাপাশি বিপ্লবী পরিবর্তনের পাশাপাশি, তথ্য বহুল বক্তব্যই হবে আমাদের আগামী দিনের হাতিয়ার।

সঞ্চালকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোষেন খান নিখিল বলেন, আমরা স্মরণ করে দিতে চাই জাতিকে, স্মরণ করে দিতে চাই, যুবসমাজকে স্মরণ করে দিতে চাই বিদেশি শক্তি ও প্রভুদের যারা বাংলাদেশকে নিয়ে নাড়া-চারা করছেন। বাংলাদেশকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলে আপনারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নামে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে যারা ভূলুণ্ঠিত করলো, পদদলিত করলো সেই বিএনপি-জামাতকে আপনারা বাংলার মানুষের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। আপনাদের ও জাতির উদ্দেশ্যে বলেত চাই-১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশে প্রথম গণতন্ত্রকে হত্যা ও মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করেছে জিয়াউর রহমান। হ্যাঁ না ভোটের মাধ্যমে জাতির ভোটের অধিকার কেরে নিয়েছিল বিয়াউর রহমান। আপনাদের চোখ সে দিকে পাড়ে না। জিয়াউর রহমান কার্ফু জারি করে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে রাতে আধারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। জামাতকে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্যই জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা বিএনপি-জামাতকে আর জনগণের ওপর অত্যাচার করার সুযোগ দিতে পারি না। পেট্রোল বোমা মারার সুযোগ দিতে পারি না। কারণ দেশ এগিয়ে গেছে, এই দেশের অগ্রগতিকে দাবিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র যুবসমাজ মানতে পারে না।
আর ও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম মিল্টন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা মো. খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মাহফুজার রহমান উজ্জ্বল, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, উপ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি