1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

২০২৩ ব্যালন ডি’অর পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যারা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬০ বার দেখা হয়েছে

ফুটবলারদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। ট্রফিটি পাওয়া যে কোনও খেলোয়াড়ের জন্যই সম্মানজনক। গত দেড় যুগ ধরে এ ট্রফিটি নিজেদের করে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মাঝে লুকা মদ্রিচ আর করিম বেনজামা ছাড়া আর কেউই সেখানে ঢুকতে পারেননি। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেয়া হবে ৬৭তম ব্যালন ডি’অর ট্রফি।
এ বিশেষ ট্রফিটি রেকর্ড সর্বোচ্চ সাতবার নিজের ঝুলিতে পুরেছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তারপরেই রয়েছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এ দুজনের বয়স হয়ে গেছে, তারা রয়েছেন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। ইতোমধ্যে এ দু’জন ইউরোপকে বিদায় জানিয়েছেন।

বরাবরের মতো এবারও একাধিক ফুটবলার ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। স্বাভাবিকভাবেই শত শত কোটি ফুটবলপ্রেমীর কৌতুহল, ২০২৩ সালে কে পাচ্ছেন এটি। ইতোমধ্যে ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ এবারের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার প্রদানের তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ অক্টোবর প্যারিসে আয়োজিত হবে ব্যালন ডি’অরের অনুষ্ঠান। যেখানে ২০২২-২৩ মৌসুমের বর্ষসেরাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গোলডটকমের জরিপে ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইয়ে রয়েছেন লিওনেল মেসি, আর্লি হালান্ড, কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও কেভিন ডি ব্রুইনারা। গত মৌসুমে ট্রেবল জিতেছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। এতে করে নরওয়েজিয়ান তারকা আর্লিং হালান্ডকে অনেকেই শিরোপা জয়ে এগিয়ে রাখছেন। তবে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন তিনি।
তবে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর ট্রফি পাওয়াটা তার জন্য একটা সহজ হবে না কারণ তাকে লড়াই করতে হবে বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসির সঙ্গে। যিনি কিনা কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। যা কিনা তাদের ইতিহাসে ৩৬ বছর পর শিরোপা খরা ঘুঁচায়।

বিদায়ী মৌসুমে এখন পর্যন্ত ব্যালন ডি’অরের পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে মেসি ৪২ গোল ও ২৬ অ্যাসিস্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন। মৌসুমে তার ঝুলিতে রয়েছে তিনটি শিরোপা। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় শিরোপাটি হচ্ছে বিশ্বকাপ। একটি করে আছে লিগ ওয়ান ও ট্রফি দেস চ্যাম্পিয়নের শিরোপা। বিশ্বকাপ ট্রফি পাওয়ার এলএমটেন অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭ গোল সেই সঙ্গে করিয়েছেন ৩ গোল। আর ফাইনালের ম্যাচ সেরাসহ বিশ্ব আসরে পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৫ বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পেয়েছেন গোল্ডেন বলের শিরোপা।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ট্রেবলজয়ী ম্যানসিটির নরওয়েজিয়ান তারকা আর্লিং হালান্ড। তিনি বিদায়ী মৌসুমে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। তিনি ৫৬ গোলের পাশাপাশি করেছেন ৯ অ্যাসিস্ট। তবে তার দুঃখ বিশ্বকাপ মঞ্চে তার দেশ নরওয়ের সুযোগ না পাওয়া। তাই তো হালান্ড চলে এসেছেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। যেখানে আগে ছিলেন এমবাপ্পে। তার ঝুলিতে আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের শিরোপা।
তৃতীয় স্থানে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে মৌসুমে ৫৫ গোল ও ১৪ অ্যাসিস্ট করেছেন। তার ঝুলিতে রয়েছে লিগ ওয়ানের একমাত্র শিরোপা। ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল উঠলেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হন তিনি। তবে ফাইনালে হ্যাটট্রিকসহ পুরো টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচ থেকে ৮ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ২ গোল। আর ম্যাচ সেরা হয়েছেন ৪টিতে। জিতেছেন গোল্ডেন বুটের শিরোপাও।

চতুর্থ স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তরুণ সেনসেশন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। মৌসুমে তিনি ২৫ গোল ও ২৬ অ্যাসিস্ট করেছেন। জিতেছেন ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও কোপা দেল রের শিরোপা।
পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ট্রেবলজয়ী ম্যানসিটির কেভিন ডি ব্রুইনা। তিনি মৌসুমে ১০ গোলের পাশাপাশি করেছে ৩২ অ্যাসিস্ট। তার ঝুলিতে আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের শিরোপা।
এই পাঁচজন ছাড়াও শীর্ষ ২০ এ রয়েছেন যারা
রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), ইলকায় গুন্দোয়ান (ম্যানচেস্টার সিটি), ভিক্টর ওসিমেন (নাপোলি), রবার্ট লেভানদোভস্কি (বার্সেলোনা), জুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানচেস্টার সিটি), বার্নার্দো সিলভা (ম্যানচেস্টার সিটি), করিম বেনজেমা (আল ইত্তিহাদ), কাভিচা কোয়ারাটশেলিয়া (নাপোলি), মার্কাস রাশফোর্ড (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ), লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), জন স্টোনস (ম্যানচেস্টার সিটি), জ্যাক গ্রিলিশ (ম্যানচেস্টার সিটি) ও কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি