1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড স্থাপন নিয়ে স্বার্থনেশী মহলের তেলেসমাতী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩৮২ বার দেখা হয়েছে
এলাকার সচেতন মহলের অভিমত  গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড স্থাপন নিয়ে ছিনিমিনি লেখছে এলাকার একটি স্বার্থনেশী মহল এলাকার সচেতন মহলের অভিমত। জানা যায়, ১৯৫৪ সালে তৎকালীন সরকার জমির মালিকদেরকে উচিত মূল্য বুঝিয়ে দিয়ে রংপুর চিনিকলের নামে ১৮৪২ একর জমি অধিগ্রহণ করেন এবং যাদের যদি অধিগ্রহণ করেছেন তাদের অধিকাংশ জমির মালিকই ছিল বাঙালী মুসলিমান। চিনিকলের নামে যে সকল জমি অধিগ্রহণ করেন নেই সকল জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। উক্ত জমির ভিতর কাহারো কোন বশতবাড়ী ছিলনা। কিন্তু এলাকার কিছু স্বার্থনেশী মহল এলাকার সাঁওতাল ও খ্রিষ্টানদের লেলিয়ে দিয়ে পিছন থেকে ইন্দোন যোগাচ্ছেন একটি মহল বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এলাকাবাসী।
তারা আরও জানান, গোবিন্দগঞ্জের সাপমাড়া ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের কিছু জমি নিয়েই বাদগা ফার্মে ইপিজেড স্থাপন হবে। এতে গাইবান্ধা জেলাসহ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা এবং জয়পুরহাট জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অপরদিকে এলাকার জমির মূল্য বৃদ্ধি পাবে। দরিদ্র এলাকাবাসীর মুখে হাসি ফুটবে।
সেই উন্নয়নকে ঠেকিয়া রাখার জন্যই লক্ষ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন কিছু স্বার্থনেশী লোক। সম্প্রতি অত্র এলাকায় বসবাসকারী কিছু সাঁওতাল পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, যারা তাদের জমি হিসেবে দাবী করছেন তাদের পিতা অথবা দাদার কাছ থেকে কত বিঘা বা কত শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তা বসবাসকারী সাঁওতালরা বলতে পারেনা। তারা জানান, দীর্ঘদিন থেকে উক্ত জায়গায় বসবাস করে আসছে কিন্তু তাদের রান্না-বান্না করার চুলা এবং বসবাসরত স্থানে থাকার মতো পরিবেশও বুঝা যায় না। কোন জায়গায় রান্না-বান্না করে তাদের আহার জোটে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা সঠিক কোন জবাব দিতে পারেনি। সাঁওতালরা জানান, আঁখ চাষের জন্য আমাদের পূর্ব পুরুষেরা জমি দিয়েছিলেন কিন্তু যেহেতু সেখানে এখন আঁখ চাষ হচ্ছেনা তাই জমি আমরা ফেরতের দাবী জানাচ্ছি।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদার রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জনবাণীকে জানান, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাগদা ফার্মের সাহেবগঞ্জে ইপিজেড নির্মাণ করার। সেখানে ইপিজেড নির্মাণ হলে ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। আর সাঁওতালদের দাবী ব্যাপারে তিনি জানান, আগামী মাসের মধ্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের লোকজন এসে তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি