1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন

রংপুরে তীব্র গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস, বাড়ছে রোগির সংখ্যা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৪ বার দেখা হয়েছে
মোঃ আফ্ফান হোসাইন আজমীর, রংপুর প্রতিনিধিঃ তীব্র রোদ আর খরতাপের রংপুরের জনজীবনে প্রভাব পড়েছে। অসহনীয় গরমে নাকাল নাগরিক জীবন। রোদের উত্তাপে ঘরের বাইরে যাওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এতে শহরে মানুষের আনাগোনা কমেছে। জীবন জীবিকায় প্রভাব পড়েছে। তিন চাকার বাহনগুলো যাত্রী সংকটে ভুগছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও বেচাকেনা নেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়, বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
তীব্র গরমে রংপুরে হিটস্ট্রোক, জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা তাপপ্রবাহে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে নিম্নআয়ের মানুষরা বিপাকে পড়েছেন। সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে কাজে যাচ্ছেন তারা। অনেকে গরম সইতে না পেরে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।
দুপুর ৩টার দিকে নগরীর মর্ডান মোড়ের বটতলায় কিছু লোককে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। সেখানে কথা হয় অটোচালক মানিক মিয়া, আসাদুলসহ কয়েক জনের সঙ্গে। তারা জানান, এই গরমে বাইরে বের হলে মাথাব্যথা শুরু হয়। পিপাসায় গলা শুকিয়ে যায়। সড়ক থেকে তীব্র তাপে হাঁসফাঁস অবস্থা। তাই কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিতে তারা বটতলায় এসেছেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহে তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিদিন কম-বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তীব্র গরমের কারণে নিম্নআয়ের দিনমজুর, শ্রমিক, ক্ষেত মজুররা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। তিন দিন আগে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত এক জনের রমেক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে হিটস্ট্রোকসহ জ্বর, সর্দি ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গত তিন দিনে অন্তত ৩০ জন রোগী হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, গরমে অনেকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এ সময় সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। বেশি করে পানি পান, ঠাণ্ডা জাতীয় পানীয় বিশেষ করে লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ ও সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টা পর্যন্ত রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এই তাপপ্রবাহ আরও চার থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকবে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেও জানান আবহাওয়া অফিসের এই কর্মকর্তা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি