1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন

লকডাউনে মড়ার উপর খাঁড়া নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ

রানা রহমান
  • আপডেট : সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১
  • ৪৫৯ বার দেখা হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি গাইবান্ধা জেলা :

গাইবান্ধাসহ দেশব্যাপী করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রণে চলছে কঠোর লকডাউন। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুম। এই বর্ষা আর লকডাউনের কারণে চরম বিপাকে এবং চিন্তায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ রিক্সা চালকরা। তারা এখন নিজ পরিবারের জন্য কিভাবে খাবার যোগাড় করবেন বা সংসার চালাবেন এ নিয়ে রয়েছেন চিন্তায়।

গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, শহরের ১ নং ট্রাফিক মোড়, পুরাতন ব্রীজ, পূর্বপাড়া সংলগ্ন পুরাতন বাজার গেট সহ বিভিন্ন মোড় ও রাস্তার প্রবেশ মুখে যাত্রীর অপেক্ষায় বসে আছেন রিক্সা চালকরা। কিন্তু দেখা নেই যাত্রীর। যাত্রীর আশায় খালি রিক্সা নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে অনেক রিক্সাচালককে। সারাদিন সামান্য যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। সরকার থেকে ত্রান সামগ্রী দিলেও তা না পেয়ে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা৷

“গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামন দিয়ে খালি রিক্সা নিয়ে ঘুরতে থাকা গাইবান্ধার বোয়ালি ইউনিয়নের নশরতপুর পুর বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তার” সাথে কথা হলে তিনি জানান- লকডাউনে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনাদিপাত করছি। আগে যেখানে সারাদিনে ৩শ৫০ থেকে ৫শ টাকা ইনকাম হতো। এখন লকডাউনের কারনে যাত্রী কম হওয়ায় একটা দেড়টায় যাত্রী হয়। কোনোরকমে ১৫০ থেকে ২শ টাকা ইনকাম হয়। এতে হামরা বুড়া- বুড়ি ছেলে, ছেলের বউ সহ পরিবারের মোট ৫জন সদস্যের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। সরকার ত্রান দিলেও আমরা পাচ্ছিনা। এই মহামারীতে সরকারি সুবিধা পেলে উপকার হতো।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা খোলাহাটি থেকে শহরে রিক্সা নিয়ে আসা সাদা মিয়ার” সাথে কথা হলে তিনি জানান- লকডাউনে বাসায় বসে থেকে তো আর পেট চলেনা। তাই বাড়িতে বসে থাকি কি করে। নুন আনতে পান্তা ফুরায় আমাদের সংসারে। সরকারের কোনো অনুদান পাচ্ছিনা। রিক্সার উপর পরিবারের সদস্যদের ভরনপোষণ নির্ভর করে। ৩০ বছর হলো রিক্সা চালিয়ে পরিবারের ৫ সদস্যের ভরনপোষণ চালাচ্ছি। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে পুলিশের তাড়া। শহরের বিভিন্ন সড়কে রিক্সা চালাতে ধরলে পুলিশ এটি খেদায় ওটি খেদায়। পুলিশের জন্য ঠিকমতো রিক্সা চালাতে পারছিনা। এ কারনে যাত্রীও হচ্ছেনা। আমরা সরকারের লোকদের কাছে অনুদান আশা করছি। না হলে খাদ্যের অভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন কাটাতে হবে।

অন্যদিকে কিছু যাত্রীর সাথে কথা হলে তারা জানান লকডাউনে কিছু রিক্সাচালক ভাড়া বেশি আদায় করছেন।

রিক্সাচালকদের সরকারী ত্রান সুবিধার বিষয় গাইবান্ধা পৌর মেয়র মোঃ মতলুবর রহমান” এর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান-পৌরসভার কোনো বাচাবাচি নেই। আমরা সকল পরিবহন শ্রমিকদের ত্রান দিচ্ছি। আমরা রিক্সা চালকদের স্ত্রীদের ত্রান সুবিধা দিচ্ছি।

রিক্সাচালকদের কোনো সরকারী ত্রান সামগ্রী বরাদ্দ আছে কিনা এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান- শহরে রিক্সা চলাচল করছে। খোজ নিয়ে দেখুন তারা যাত্রীদের কাছে বেশি ভাড়া আদায় করছে। এছাড়াও রিক্সা চালকদের জন্য আপাতত কোনো ত্রান সুবিধা দেয়ার চিন্তা মাথায় নেয়া হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি