জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চলমান কাজে বাধা সৃষ্টিকারি এবং দীর্ঘ দিন যাবৎ চাঁদাবাজীর সাথে সম্পৃক্ত রাজীবপ্রধান সন্ত্রাসী প্রেরণ করেন যেন তাদের কাছ থেকে উচ্চ দরে মালামাল সরবরাহ করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে হুমকি এবং যে কোন সময়ে প্রাণনাশের মতো গঠনা গঠাতে পারে এই রাজীবগং তার ভাষ্য অনুযায়ী  এখানে কাজ করতে হলে তাদের কাছ থেকে মালামাল না নিলে কোনো ধরনের কাজ করতে দেয়া হবে না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নিম্নমানের মালামাল নিতে অস্বীকৃত জানালে সাবেক সিনিয়র সেনা কর্মকর্তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজ রাজীবপ্রধান ও তার ভাড়া করা স্থানীয় কুখ্যাত সন্ত্রাসী বাহিনীদের দিয়ে প্রতিনিয়তই হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। চলমান কাজে বাধা সৃষ্টিকরে  এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন এই সন্ত্রাসী বাহীনর প্রাধান রাজীব গং।

চাঁদাবাজ রাজীবপ্রধান ও তার গংরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের বিভিন্ন প্রকার বাধা প্রদান হুমকি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন- সরকারী উন্নয়নমূলক কাজে বাধা সৃষ্টি ও চাঁদা চাইলে তাদের আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যেখানে সরকারী কোনো উন্নয়নমূলক যে কোনো কাজে কাজ শুরু করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়। সেখানে এ চাঁদাবাজ রাজীবপ্রধান হয়রানি করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় ভাড়া করা সন্ত্রাসীবাহিনীদের দিয়ে মিথ্যা সংবাদ, বিবৃতি ও ভয়ভীতির প্রদর্শন করে। যার প্রেক্ষিতে সুষ্ঠুভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মোঃ হাসিবুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান- চাঁদাবাজ রাজীব গংদের হুমকি, ভয়ভীতি ও জীবননাশের আশংকায় আমরা ভীত এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মালামালের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি চাঁদাবাজ রাজীবপ্রধান গংদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জানমাল রক্ষা করা ও চাঁদা দাবী করা চাঁদাবাজ রাজীবপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হলে প্রকৃত ঘটনার রহস্য বের হয়ে আসে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর স্বস্ত্বাধিকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন- সরকারের সকল টেন্ডার সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা, কাজের মান ও গ্রহণযোগ্যতা যাচাই বাছাই করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর যোগ্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়। কাজের সকল উপকরণ সঠিক মান যাচাই করে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু কাজটি যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন না হয় সরকারের উন্নয়ন অবকাঠামোতে বাধাগ্রস্ত করতে চাঁদাবাজ রাজীবপ্রধান আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃত জানালে হীন চক্রান্তের প্রয়াস হিসেবে মিথ্যা বানোয়াট প্রতিবেদন তৈরি করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বাধাগ্রস্ত করার হীন উদ্দেশ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। জনস্বার্থে জড়িত কাজটি সম্পন্ন করা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।

সন্ত্রাসী রাজীবপ্রধান ও তাঁর গংদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ভুক্তভোগী সাবেক সিনিয়র সেনা কর্মকর্তার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।