1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন

বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে তিস্তার পানি, দুশ্চিন্তায় তীরের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩
  • ১১০ বার দেখা হয়েছে

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদীর। এদিকে পানি বেড়ে প্লাবিত হয়ে পড়েছে জেলার নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে আমন আবাদসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত।

সোমবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া নামে এক বাসিন্দা জানান, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়া দেখে এখানকার মানুষেরা অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন। তাছাড়া তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। ফলে তিস্তা পাড়ের মানুষের বারো মাসেই কষ্ট।

ধরলা নদীর অববাহিকার সিতাইঝাড় এলাকার মজিবর রহমান ও ইসমাইল হোসেন বলেন, আবার ধরলা নদীর পানি বাড়ার কারণে বাড়ির চারিদিকে পানি চলে আসছে।

এভাবে যদি আরও ২-৩ দিন পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে অবস্থা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, জেলায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ৩৩৫ হেক্টর জমির আমন ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে কোন ক্ষতি হবে না, পানি নেমে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানিও। আশা করা হচ্ছে, ২-৩ দিনের মধ্যে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করবে। তবে এই মুহূর্তে বড় ধরনের কোনো বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি