1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন

আন্দোলন ছাড়া কেউই রক্ষা পাবে না : ফখরুল

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৭৯২ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছাড়া কেউই রক্ষা পাবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ভার্চুয়াল আলোচনার মাধ্যমে এ ম্যাসেজটা সকলকে আপনারা (সাংবাদিকরা) দিতে পারেন যে, এখন থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া দেশ, গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা-কাউকেই রক্ষা করা যাবে না, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও রক্ষা করা যাবে না।’
‘আমি একটা কথাই বলব, অবস্থা বদলানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। বদলে দেয়ার একটাই পথ যে, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনই হচ্ছে আমাদের একমাত্র পথ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের ঐক্য দরকার। যেটা আমরা চেষ্টা করছি সবসময়। একটা ঐক্য সৃষ্টি করেই এগুতে হবে।’
‘আসুন গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাই, সব রাজনৈতিক দলগুলোকে এক কাতারে আনার চেষ্টা করি এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য, গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য লড়াই করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সরকারের কোনো মূল্যবোধ নেই। আওয়ামী লীগ তো গণতন্ত্রই বিশ্বাসই করে না। আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না, কখনোই যায় না। ওদের যে রসায়ন তার মধ্যে গণতন্ত্র হয় না। ওদের ভাবটাই হচ্ছে যে, আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আমি একমাত্র দেশকে নিয়ন্ত্রণ করবো, আমি দেশ চালাব, আমিই সব কিছু।’
‘সেজন্য এ অবস্থা থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, পারস্পরিক সমস্যা দূর করতে হবে। ন্যাশনাল ইউনিটি এ গণতন্ত্রের জন্য বেশি প্রয়োজন।’
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যে অবস্থায় পড়েছি এটা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে খারাপ সময়, সবচেয়ে কঠিন সময়। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে বিশেষ করে ভয়-ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টির কারণে কেউ সাহস করছে না।’
‘আজকে যত সাংবাদিক বেকার আছেন, এতো বেকার বোধহয় কখনো ছিল না। ১৯৭৫ সালে বাকশাল করার পর চারটি পত্রিকা রেখেছিল। আজকে কিন্তু পরোক্ষভাবে ওই রকমই একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে। তাদের কথা যারা বলবে, তাদের পক্ষে যারা থাকবে তাদের পত্রিকা চলবে, তাদের চ্যানেল চলবে, তাদের গণমাধ্যম চলবে। অন্য যারা আছে সেগুলো চলতে দেবে না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা অনেক ভুক্তভোগী, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন, অনেকের চাকরি নেই, অনেকে জেল-জুলুম মামলায় পড়েছেন। সাগর-রুনি থেকে শুরু করে অনেকে খুন হয়েছেন, অনেকে গুম হয়ে গেছেন, অনেককে হত্যা করা হয়েছে। তারপরেও আপনাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
‘কারণ আপনারাই হচ্ছেন গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। মুক্ত সাংবাদিকতা বা মুক্ত সংবাদমাধ্যম না থাকলে গণতন্ত্র কখনোই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। গণতন্ত্রের মূল বিষয়টাই হচ্ছে গণমাধ্যম। সব দেশে, সব যুগে, সব কালে সাংবাদিকরা একটা প্রধান ভূমিকা পালন করে। আপনারা চেষ্টা করছেন, সব সময় করেছেন।’
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘আমাদের প্রবীণ সম্পাদক আবুল আসাদ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন, তিনি জামিন পাচ্ছেন না, কোনো জামিন নেই। জনপ্রিয় চ্যানেল দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান বন্ধ, আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ। লেখার তো কোনো স্বাধীনতা নেই, ক্ষমতা নেই। এমনভাবে আইন করেছে যে, আপনি কিছুই করতে পারবেন না। এ অবস্থায় আমরা আছি।
‘ভিন্নমত পোষণকারী কোনো সংবাদপত্র কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন পাচ্ছে না। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বিজ্ঞাপন দিলেও তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এভাবে সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে। এ অবস্থার অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যের ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। ভয়ের সংস্কৃতি তৈরির মধ্য দিয়ে এ আইন সাংবাদিকদের কলমকে, মানুষের মুখকে বন্ধ রাখার চক্রান্ত হচ্ছে, ভিন্নমত দমনে এ আইন বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।’
‘এটা একটি জঙ্গি আইন। এটা কোনো সভ্য সমাজে কিংবা কোনো সভ্য কল্যাণকর রাষ্ট্রে থাকতে পারে না, এটা সংবিধান বিরোধী আইন। আমরা অবিলম্বে এ আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
‘মুক্ত সাংবাদিক অন্তর্ধান’ দিবস উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এ আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পারোয়ার, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজের বাকের হোসাইন, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, নুরুল আমিন রোকন, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম মহসিন বক্তব্য রাখেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি