1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

গণপূর্তের দুর্নীতির মাস্টার মাইন্ড নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস

আবু তাহের বাপ্পা
  • আপডেট : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৯৯ বার দেখা হয়েছে

আবু তাহের বাপ্পা: পবিত্র কুমার দাস । গণপূর্ত অধিদপ্তরের ক্ষমতাধর নির্বাহী প্রকৌশলী। পবিত্র কুমার দাস নিজ নামের গুনে গুণান্বিত। কর্মক্ষেত্রে কাজ না করেই বিল হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ। ই- এম শাখা- ৬ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস নিজেকে অত্যন্ত সাধু ব্যক্তি হিসেবে প্রচার করে থাকে একই সাথে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লোক এ কথা বলে সকলকে ভীতির মধ্যে রাখে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে তা অনুসন্ধানে আলোর মুখ দেখছে না। বিভাগীয় তদন্ত ও থেমে আছে। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কি একজন পবিত্র কুমার দাসের কাছে মুখ থুবড়ে পড়বে।

কেস স্টাডি:
মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। সরকারের গুরুত্ব বিবেচনায় অগ্রাধিকার প্রকল্প। স্বাস্থ্য খাতে কাজ মানেই অগ্রাধিকার। কিন্তু পুরো সোনার ডিম পাড়া হাঁস প্রকল্পের পুরো অর্থই কাজ না করে আত্মসাৎ করে বহাল তবিয়তে পবিত্র কুমার দাস। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংস্কার ও মেরামত বরাদ্দকৃত ২২ টি কাজের মধ্যে মাত্র ১টি কাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদার। বাকি ২১ টি কাজ না করে সম্পূর্ণ বিল তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে পবিত্র কুমার দাস ও উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান রনি। ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ১০ কোটির টাকার অধিক আত্মসাৎ করার অভিযোগ বিভাগীয় তদন্ত ও আলোর মুখ দেখছে না।

মুগদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরে ও কেন তা আলোর মুখ দেখছে না বা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এ নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ও গণপূর্ত অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় লোক দেখানো তদন্ত কমিটি করেছে।

পবিত্র কুমারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হল মানিলন্ডারিং। দেশের বাহিরে তার প্রচুর অবৈধ সম্পদ রয়েছে। রাজধানীর মালিবাগের চৌধুরীপাড়ার আলিশান ফ্লাট তার সারা জীবনের অর্জিত আয়ের চেয়েও বেশি মূল্যের। সপ্তক আবাসন কোম্পানির ফ্ল্যাটটির মূল্য নূন্যতম ৩ কোটি টাকা। অবৈধ সম্পদ শুধু পবিত্র কুমার দাসের একার নয় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান রনি ও কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক।

দুর্নীতিবাজদের রুখতে হলে প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘোষিত কর্মসূচির বাস্তবায়ন করতে হবে। পবিত্র কুমার দাসের গ্রামের বাড়ি নড়াইল। সাধারণ পরিবারের সন্তান পবিত্র কুমার। তিনি কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গান যা সরকারী চাকুরীজীবী ধৃষ্টাতা দেখে সবাই হতবাক। তিনি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক হওয়ার কারনে আলাদা সুবিধা ভোগ করতে চান।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তারই ই-এম-৬ শাখার অধীনে উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের দিয়ে নির্দিষ্ট হারে পারসেন্টেজ ছাড়া তিনি কোন কাজ করেন না। এ অভিযোগ একাধিক নাম প্রকাশ না করা ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের। দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর যাবৎ একই বিভাগে থাকার কারণে তিনি পুরো ই-এম- ৬ শাখাটিকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে।

এ ব্যাপারে তার বক্তব্যের জন্য অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মূলত: তিনি অফিসে খুব কম সময় থাকেন। যখনই অফিসে যাওয়া হয় তখনই বলেন স্যার মন্ত্রণালয়ে আছে। পবিত্র কুমার দাস গণমাধ্যমের ফোন এড়িয়ে চলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন ও মন্ত্রণালয় মুগদা হাসপাতালের ২১ টি কাজের নিরাপক্ষ তদন্ত করলে তার অনিয়ম ও দুর্নীতি বের হয় আসবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি