1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন

আহমেদ আকবর সোবহানের চলমান মামলা দুটি দ্রুত শেষ করতে চেষ্টা করছে দুদক

বিশেষ প্রতিবেদন
  • আপডেট : বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৬৯ বার দেখা হয়েছে
আহমেদ আকবর সোবহানের চলমান মামলা দুটি দ্রুত শেষ করতে চেষ্টা করছে দুদক
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলমের বিরুদ্ধে চলমান দুটি মামলা দ্রুত শেষ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সরকারি ১৮টি পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত এবং হুমায়ুন কবীর সাব্বির হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় এ দুটি মামলা করে দুদক। বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুদক আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আহমেদ আকবর সোবহানের বিরুদ্ধে সরকারি ১৮টি বাড়ি বরাদ্দে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুটি মামলা চলছে। এখন সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এগুলো হাইকোর্টে এসেছিল। পরে সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে যায়। মামলা দুটির বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এছাড়াও তিনি (আহমেদ আকবর সোবহান) সাব্বির হত্যায় ঘুষের মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট সে আবেদন খারিজ করে দেন। সেটিও হাইকোর্টের নির্দেশনার পর বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় সরকারি ১৮টি পরিত্যক্ত বাড়ি সাজানো দরপত্র ডেকে অস্বাভাবিক কম দামে বিক্রির অভিযোগে ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এই মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন আহমেদ আকবর সোবহান।

এছাড়াও বসুন্ধরা কমিউনিকেশন্সের কর্মকর্তা সাব্বির ২০০৬ সালের ৪ জুলাই গুলশানের একটি অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন। ৫ জুলাই তার লাশ উদ্ধারের পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ঘটনা প্রকাশ হয়ে গেলে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ২০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০০৭ সালে বসুন্ধরা চেয়ারম‌্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার দুই ছেলে আনভীর ও সাদাত, বসুন্ধরার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টের পরিচালক আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

পরে ওই মামলায় তারেক রহমান, তার ব্যক্তিগত সহকারী নূরউদ্দীন অপু, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামালকেও আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাব্বির হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে বাবরের বেইলি রোডের বাড়িতে আহমেদ আকবর সোবহান বৈঠক হয়েছিল। এই হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের ‘৫০ কোটি টাকার চুক্তি হয়’।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি