1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন

কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাংচুর

ফয়সাল মবিন পলাশ
  • আপডেট : বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৫৬৭ বার দেখা হয়েছে

 

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ ভুল চিকিৎসায় মোবারক হোসেন(৬০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে স্বজনদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।এ সময় রোগীর স্বজনদের জনরোষ হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর নজরুল এভিনিউ সড়কের পাশে ট্রমা সেন্টার হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে রোগীর মৃতদেহ নিয়ে টানাটানি শুরু করেন হাসপাতাল কয়েকজন কমকর্তা ও স্বজনেরা। রাত ৯টায় দিকে কোতায়ালী ও কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির উপস্থিতিতে দফা দফা বৈঠকের মধ্য দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রাতে কোতয়ালী থানার ওসি আনোয়ারুল হক বলেন , ঘটনার সর্ম্পকে জানতে পেরে হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনেছি। এখনো কোনো লিখিত কোনো অভিযোগ পায়নি,পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন আছে। হাসপাতাল ভাংচুর- হামলাকারীদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । নিহত রোগীর ভাই আবুল হাশেম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আমার ভাই ভূল চিকিৎসার কারনে মারা গেছে । এরা ডাক্তার না কসাই, অপারেশনের আগে পরীক্ষার নামে আমাদের কাছে বিল দাবি করেন। আমরা কিছু অংশ তাদের পরিশোধ করি। আমার ভাইয়ের হাটুতে সমস্যা ছিলো, ভূল চিকিৎসার কারনে ভাই মারা গেছে। আমি বিচার চাই । নিহতের স্বজন জেসমিন আক্তারের তথ্য মতে, লাকসাম উপজেলার ১নং বাকই ইউনিয়েনের পইরাগ গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে মোবারক (৫৭) হাঁটুতে সমস্যা নিয়ে সকালে ডাক্তার দেখাতে বাড়িতে আসনে। পরবর্তীতে ডা. সাফায়েত শাহীন দুপুর তিনটার দিকে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি হওয়ার জন্য বলেন । পরে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ভর্তি হন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত আটটার দিকে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল ৩০,০০০ টাকা দাবি করলে ১৪ হাজার টাকা জমা দিয়ে অপারেশন করার অনুরোধ করেন নিহতের ভাই আবুল হাশেম। রাত আটটার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক অপারেশনের প্রস্তুতি নিয়ে অচেতন করার জন্য ডাঃ সাফায়েত শাহীন এনেসথেসিয়া ইনজেকশন পুশ করার পর তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে রোগীর স্বজনদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা জনরোষ এড়াতে পালিয়ে যান । এরপর রাত ১০ টার দিকে হাসপাতাল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে । এই সময় হামলাকারীদের ইটের আঘাতে হাসপাতালে ভর্তি থাকা চান্দিনা উপজেলার ফয়সাল (২২) নামের এক রোগী গুরুতর আহত হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি