হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দুবৃত্তদের হামলার শিকার প্রতিবন্দীসহ একই পরিবারের ৪ জন গুরতর আহত হয়।এদিকে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর সদর হাসপাতালে এমসি বানিজ্য বেপরোয়া হয়ে উঠে অফিস সহায়ক শাহজাহান।বিভিন্ন কৌশলে বাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় সে।
মামলার বিবরন ও বাদীর অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার তেতৈয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী শফিকুর রহমানের জমির উপর কুনজর পড়ে প্রতিবেশী দুলাল মিয়া ও ইকবাল হাছান গংদের।তারা সংঘবদ্ধভাবে ওই জমি বিভিন্ন ভাবে প্রায় ৩১ শতাংশ জমি কৌশলে দখল করে নেয়।বিষয়টি প্রতিবন্দী শফিকুর রহমান সমাজের গন্যমান্য মাতাব্বরদের সরনাপন্ন হন।এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশ অনুষ্টিত হয়।ওই বিচারে মুরুব্বিগন সিদ্ধান্ত দেন শফিকুর রহমানের জমি দখল ছেড়ে দিতে।কিন্তু দুলাল মিয়া ও তার পুত্র হাছান ইকবাল বিচার সালিশকে অমান্য করে ওই বৃদ্ধ ও তার পরিবারকে হুমকিদামকি দিয়ে আসছিল।এর জেড়ে চলতি সনের ১৮ ফেব্রুয়ারী শফিকুর রহমানকে একা পেয়ে অতর্কিত পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। তিনি মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন তাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার (৩৫) সুমাইয়া আক্তার (১০) ও ইতি আক্তার (১২) কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে স্হানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়।
এ ঘটনায় প্রতিবন্দী শফিকুর রহমানের স্ত্রী রাবিয়া আক্তার গত ১/৩/২০২১ ইং তারিখে বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কগঃ ০১ হবিগঞ্জ আদালতে ৩ জন কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে বিঞ্জ কোর্ট ৪ জন জখমীর এম সি সংগ্রহের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা হবিগঞ্জ কে নির্দেশ প্রদান করেন।জেলার গোয়েন্দা শাখার এস আই মোঃ মাহমদুল হাসান সিআর ১৩৩ /২১ হবিগঞ্জ এর মামলার জখমীদের চিকিৎসা পত্র সনদ পাওয়ার জন্য ১/৪/২১ইং তারিখে তত্বাবধায়ক আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল হবিগঞ্জ বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে হাসপাতালের আর এম ও অফিস সহায়ক শাহজাহান মামলার বাদিনীর সাথে যোগাযোগ করে এম সি সহজে পাইয়ে দেবে ও ডাঃ আর এম ও মুমিনুল ইসলামের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। মাস চলে গেলেও এম সি দেই দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করে।
জখমি প্রতিবন্ধি মামলার বাদিনী রাবিয়া আক্তার জানান, বার বার হাসপাতালে এম সির জন্য আসলে ডাঃ আর এম র সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি শাহজাহান।বরং আমার সাথে সে অসৎ আচরন করে প্রতিপক্ষের সাথে মামলা আপোশ মিমাংসা করতে বলে। মামলার বাদিনী আরও জানান বিবাদীর কাছে মোটা অংকের টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়ার জন্য ও তাদের মামলা নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে শাহজাহান।
বিষয়টি নিয়ে সদর হাসপাতালে যোগাযোগ হলে ডাঃ মুমিনুল ইসলাম জানান,বিষয়টি শুনেছি এম সি দেয়া হবে।
পরে মামলার বাদিনী যোগাযোগ করলে অফিস সহায়ক শাহজাহান ২ নং জখমির আর একটি এক্সরে করার কথা বললে, এ সময় মামলার বাদি ও শাহজাহান মধ্যে শুরু হয় বাকবিতান্ডা। মামলার বাদিনীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ও শাহাজান বলে ২ নং জখমির আরেকটি এক্স রে জমা না দিলে তাদের এম সি দিবে না বলে জানায়।
এ দিকে মামলার বাদিনী জানান শহরের ইউনাইটেড শিশু জেনারেল হাসপাতাল থেকে ডিজিটাল এক্স রে সহ ৪ জন জখমির এক্স রে প্লিম্প সহ ডাঃ আর এম ও বরাবরে জমা দেয়া হয়েছে।এর পর ও তারা এম সি নিয়ে নানান তাল বাহানা শুরু করছে।