1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন

দলের হারে তোমায় কাঁদতেও তো দেখেছি: আনুশকা

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১২৬ বার দেখা হয়েছে

বিরাট কোহলি মানেই আগ্রাসন। দলের জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত উজাড় করে দিয়ে লড়াই করা যার নেশা। ভারতকে একের পর এক সাফল্য এনে দিয়েছেন। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। এখনও ভারতের সেরা টেস্ট অধিনায়ক তিনি। তার অধীনেই সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছে ভারত।

অথচ সেই বিরাট কোহলি কিনা কাঁদেন? অনেকের কাছেই এতদিন এ বিষয়টা আকাশকুসুম চিন্তা ছিল; কিন্তু কোহলি ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তার স্ত্রী আনুশকা শর্মা জানালেন, ভারতীয় দলের হারের পর বিরাটের চোখে পানি দেখেছেন তিনি। ভারতীয় দলের পরাজয়ে তিনি কাঁদতেন।

রোববা ফেসবুকে পোস্ট করা এক হৃদয়গ্রাহী বার্তায় বিরাট-স্ত্রী লেখেন, ‘তুমি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছ। জয়ের জন্য মাঠে নিজের শক্তির প্রতিটা বিন্দু উজাড় করে দিয়েছ। এতটাই উজাড় করে দিয়েছ যে কয়েকটি হারের পর আমি তোমার পাশে বসে দেখেছি যে তোমার চোখে পানি এসে গেছে। তুমি কেঁদেছো। তখন ভেবেছো, তুমি আরও বেশি কিছু কি করতে পারতে! এটাই তুমি – সবার কাছ থেকে তুমি সেটাই আশা করেছিলে। তুমি সবার চেয়ে আলাদা এবং সবকিছু সোজাসুজি বলে দাও। ভণ্ডামি কিংবা শঠতা হল তোমার শত্রু। এটাই আমার চোখে, তোমার প্রশংসাকারীর চোখে তোমায় দুর্দান্ত করে তুলেছে। কারণ সবকিছুর মধ্যে তোমার নিখাদ এবং খাঁটি অভিপ্রায় ছিল। প্রত্যেকে সেটা পুরোপুরি বুঝতে পারবেন।’

শনিবার ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন বিরাট কোহলি। যিনি সাত বছরে ভারতীয় টেস্ট দলকে সাত নম্বর থেকে এক নম্বরে নিয়ে যান। নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন এ সময়টাতে। অধিনায়ক বিরাটের সেই সিদ্ধান্তের পর আনুশকা বলেন, ‘আমি যেমনটা বলেছি, তোমার চোখের কোণে কী আছে, সেটা জানার যারা চেষ্টা করেছেন, তারা সত্যিকারের আশীর্বাদধন্য। তুমি নিখুঁত নয়। তোমার খামতি আছে; কিন্তু তুমি কখন সেটা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছ? তুমি যেটা করেছ, সেটা হল যে তুমি সর্বদা সঠিক জিনিসের পক্ষে দাঁড়িয়েছ। সেটাই সর্বদা সবচেয়ে কঠিন জিনিস হয়েছে। লোভের জন্য তুমি কোনও কিছু জোর করে ধরে রাখনি। এই পদটাও, আমি জানি। কারণ কেউ যদি কোনও জিনিস জোর করে রাখেন, তাহলে তিনি নিজেকে বেঁধে ফেলেন। কিন্তু আমার প্রিয়তম, তুমি হলে সীমাহীন।’

নিজের মেয়ে তার কাছ থেকে সঠিক আদর্শটা শিখবে বলে বিশ্বাস করেন আনুশকা। তিনি বলেন, ‘তুমি যে সাত বছর ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছো এবং যে আদর্শ স্থাপন করেছো, তা দেখবে আমাদের মেয়ে এবং তোমার কাছ থেকে সে শিখবে। তুমি সত্যিই খুব ভালো করেছ।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি