1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

দেশে দেশে নিষিদ্ধ আল জাজিরা

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৫৯৮ বার দেখা হয়েছে

বার বার বানোয়াট আর বিভ্রান্তিকর সংবাদ সম্প্রচার করে দেশে দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে কাতারভিত্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা। বিদ্বেষমূলক সংবাদ পরিবেশন করে নিন্দা কুড়াচ্ছে গণমাধ্যমটি।

২৪ ঘণ্টার সংবাদ চ্যানেলটি একের পর এক বিতর্কিত সংবাদ সম্প্রচার করে আলোচনা এসেছে বার বার। দেশে দেশে নিষিদ্ধের তালিকাতেও পড়ে। তবুও বন্ধ হয়নি অপপ্রচার।

সৌদি আরবসহ ৭টি দেশ কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে তাদের মিথ্যা বানোয়াট খবর সম্প্রচারের জন্য। তাদের অভিযোগ ছিলো, দেশটি সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সহায়তা ও মদদ দিয়ে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারী সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন এসব শর্ত দেয়।

মধ্যপ্রাচ্যে আরবি ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা ৩৫ কোটির বেশি। ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে স্থানীয় রেডিও স্টেশনগুলো তাদের কাছে পৌঁছানো শুরু করে। ১৯৯০-এর দশকে সৌদি রাজ পরিবার আরবি ভাষার বিভিন্ন সংবাদপত্র কিনতে শুরু করে এবং পুরো অঞ্চলে সেগুলো ছড়িয়ে দিতে থাকে। এ ছাড়া আরও বেশি দর্শক টানতে এমবিসি নামের একটি স্যাটেলাইট চ্যানেল তৈরির কাজ শুরু করেছিলো সৌদি আরব। এই উদ্যোগ খুব বেশি জনপ্রিয় না হলেও আরব অঞ্চলের গণমাধ্যম জগতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। এই কৌশলেকে দমাতে আল জাজিরার যাত্রা শুরু।

২০০০ সালে বাহরাইনের সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচার করে প্রথম রোষানলে পড়ে আরব দুনিয়ার গণমাধ্যমটি। ওই নির্বাচনকে ইহুদিদের ‘পৃষ্টপোষকতার নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করায় বাহরাইনে সম্প্রচার নিষিদ্ধ হয় আল জাজিরার।

ইসরাইলের সেনা ও আন্দোলনরত ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার সংঘর্ষ সরাসরি সম্প্রচার করা শুরু করে আইনের লঙ্ঘন ঘটায় আল জাজিরা। এরপর থেকেই সমালোচনায় পড়তে হয় আল জাজিরাকে। ওসামা বিন লাদেনের ভিডিও বার্তাও সম্প্রচার করতো চ্যানেলটি। আর এসব কর্মকাণ্ডের জন্যই ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর সন্ত্রাসীদের সমর্থনের অভিযোগ উঠেছিলো আল জাজিরার বিরুদ্ধে।

২০০৪ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আল জাজিরার কার্যালয় বন্ধ করে মার্কিন সেনা নিয়ন্ত্রিত ইরাকের অন্তর্বতীকালীন সরকার। সেসময় আল জাজিরার বিরুদ্ধে দেশটিতে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। আরেক দফায়, ২০১৩ সালে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে ইরাক সরকার নিষিদ্ধ করে আল জাজিরা।

২০০৮ সালে ইসরায়েলি কারাগার থেকে এক বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া সামির কান্তারকে নিয়ে একটি প্রোগ্রাম সম্প্রচার করে আল জাজিরা। চারজন ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যা করা ওই ব্যক্তির জন্মদিন নিয়ে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করায় ইসরায়েল সরকার চ্যানেলটিকে বয়কট করে।

২০১১ সালে মিশরে বিক্ষোভের সময় দেশটির সরকার আল জাজিরার কার্যালয় বন্ধের নির্দেশ দেয়। এসময় উগ্রবাদী ইসলামপন্থীদের মদদ দেয়াসহ নানা অভিযোগ আনা হয় চ্যানেলটির বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আবারও সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয় আল জাজিরার।

২০১২ সালে চীনও আল জাজিরা ইংলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলো। চ্যানেলটির আরবি ভাষী সংস্করণটির বিরুদ্ধে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থনের অভিযোগও উঠে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় বিদ্রোহীদের পক্ষে প্রতিবেদন তৈরি করায় বিতর্কে পড়ে আল জাজিরা। আন্দামান দ্বীপ ও জম্মু-কাশ্মীরকে বাদ রেখে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্র তুলে ধরার কারণে ২০১৫ সালের এপ্রিলে ৫ দিনের জন্য আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে ভারত।

‘দ্য আল জাজিরা ইফেক্ট’ নামের বইয়ের লেখক হিউ মাইলস দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘আল জাজিরা অ্যারাবিক চ্যানেলটি ইসলামপন্থী। ওখানে এটি একটি জনপ্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু অন্য আরব দেশগুলো এটি গ্রহণ করে না। তারা মনে করে এটি তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ।’

ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গালফ অ্যান্ড এনার্জি পলিসি প্রোগ্রামের পরিচালক সাইমন হেন্ডারসনের মতে, দোহার নীতিগুলোরই প্রতিফলন ঘটায় আল জাজিরা। তিনি বলেন, ‘আল জাজিরা না থাকুক এটা অনেক আরব দেশই চায়।’

সূত্র : বালা ইনসাইডার

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি