1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকা,তবুও ক্রেতা নেই খাতুনগঞ্জে

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩
  • ১০৪ বার দেখা হয়েছে

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার খবরে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম এক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমে গেছে।

সোমবার এই বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় দাম হাঁকিয়েও বিক্রি করতে পারেননি অনেক বেপারি।

কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষা ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে দীর্ঘ ৫০ দিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখায় পেঁয়াজের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যায়। বাধ্য হয়ে আজ (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার ঘোষণা দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এই খবরে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বাজারে রীতিমতো ধস নেমেছে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স বাছা মিয়া সওদাগর নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী মুহাম্মদ ইদ্রিস জানান, গত বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জে ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। এরপর শনিবার ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। রবিবার এক লাপে ৯০ টাকা হয়ে যায় প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম। কিন্তু আমদানির অনুমতি দেয়ার খবরে সোমবার সকালে ৭৮-৮০ টাকা এবং দুপুরের দিকে এক লাফে ৬০ টাকায় নেমে আসে দাম।

খাতুনঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলা থেকে বেপারিরা পেঁয়াজ এনে খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে বিক্রি করেন। পেয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার খবরে বেপারিরা প্রতি মনে ৮’শ থেকে ১ হাজার টাকা দাম কমিয়ে দেন। এ কারণে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। এই মুহূর্তে অন্তত ৫’শ টন পেঁয়াজ বেপারিদের হাতে আছে। আমদানি করা পেঁয়াজ আসলে দাম আরো কমে যাবে এই আশায় আড়তদার ও পাইককাররা আর পেঁয়াজ কিনছেন না।

এদিকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দামে ধস নামলেও খুচরা বাজারে এখনো দাম ততোটা কমতে দেখা যায়নি। আজ বিকেলে একাধিক মুদি দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, ক্রয়মূল্য বাড়তি হওয়ায় আগের দামে তারা পেঁয়াজ বিক্রির চেষ্টা করছেন। তবে সেখানেও ক্রেতার পরিমাণ কম। পরবর্তীতে লোকসান দিয়ে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে বলে জানান তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি